নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল অধিবেশনকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে তৈরি হয়েছে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে ‘বুলডোজার মিছিলের’।
খুলনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষণা অনুযায়ী রাত ৮টা ৪০ মিনিটে কর্মসূচি থাকলেও ৮টার পর থেকে নগরীর শের-ই বাংলা সড়কের শেখ বাড়ি (খুলনার গণভবন নাতে খ্যাত) এলাকায় জড়ো হতে থাকে ছাত্র-জনতা। সেখানে জড়ো হয়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই বাড়িতে ঢুকে পড়ে ছাত্র-জনতা। চালানো হচ্ছে ভাঙচুর।
ঘটনাস্থলে দেখা যায়, ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। অনেকেই দিচ্ছে মুহুমুর্হু স্লোগান। পুরো বিল্ডিংটির অবকাঠামোই ভেঙে ফেলা হচ্ছে। মানুষ বাড়ির ভিতরের প্রবেশ করে বাড়িটি নিশ্চিহ্ন করার জন্য যে যার মত অংশগ্রহণ করছেন। উত্তেজিত জনতা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন। খালি হাতে যে যেভাবে পারছেন বাড়ির বিভিন্ন অংশ ভেঙে ফেলছেন। বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে উত্তেজিত জনতা।
‘দিল্লি না ঢাকা-ঢাকা ঢাকা, ফ্যাসিবাদের আস্তানা- ভেঙ্গে দাও, গুড়িয়ে দাও, ইনকিলাব ইনকিলাব-জিন্দবাদ জিন্দাবাদ’ এমন সব শ্লোগানে শ্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে নগরীর ওই এলাকা।
বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা বলছেন, যারা ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, সেসব ফ্যাসিবাদীদের কোনো চিহ্ন বাংলাদেশের মাটিতে রাখতে চাই না। অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত এনে তার শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এর আগে, গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পাশাপাশি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ওই দিনই খুলনার ওই শেখবাড়িতে লুটপাট, অগ্নি সংযোগ করে বিক্ষিপ্ত জনতা।