ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে অভিযান শুরুর ঘোষণা দিলেও, নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেকু দিয়ে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ শুরু হয়। ভাসমান দোকানগুলো গুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং অবশিষ্ট অংশ ট্রাকে তুলে নেওয়া হয়। অনেকে তড়িঘড়ি করে তাদের মালপত্র সরিয়ে নিতে সক্ষম হলেও, অনেকেই সময় পাননি।
শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালিদ মনসুর জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরের সব অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব স্থাপনায় মাদক কেনাবেচা ও সেবন হয়। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজউক থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে এসে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
সরকারের পক্ষ থেকে সাম্য হত্যার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তগুলো হলো:
রাজু ভাস্কর্যের পেছনের গেটটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, মাদক ব্যবসা বন্ধ এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে যৌথ অভিযান পরিচালিত হবে। নিয়মিত মনিটরিং ও অভিযানের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে। উদ্যানে পর্যাপ্ত আলো ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। উদ্যানে একটি ডেডিকেটেড পুলিশ বক্স স্থাপন করা হবে। উদ্যানে রমনা পার্কের মতো সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে। রাত ৮টার পর উদ্যানে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে একটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক স্থানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে। ইতোমধ্যে সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।