অবহেলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে এমন দক্ষতা ও উপকরণে সজ্জিত করা, যা তাদের সামাজিক, পরিবেশগত, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সমস্যা মোকাবেলায় সহায়তা করবে—এই লক্ষ্য নিয়ে খুলনায় শুরু হচ্ছে ‘ওমেনস অ্যাডাপটেশন প্ল্যানস ফর ক্লাইমেট-রেজিলিয়েন্ট লাইভলিহুডস ইন দ্য সুন্দরবন’ প্রকল্প।
প্রকল্পটি গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ)-এর অর্থায়নে উত্তরণ বাস্তবায়ন করবে। এতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইকিউএমএস পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে। ২০২৫ সালের জুলাই মাসে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়ে ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত চলবে।
সোমবার সকাল ১১টায় খুলনার সিএসএস আভা সেন্টারে অনুষ্ঠিত প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশের উপকূলীয় সুন্দরবন অঞ্চল ক্রমবর্ধমান প্রাকৃতিক ক্ষয়, পরিবেশ ধ্বংস ও সামাজিক বঞ্চনার মুখোমুখি হচ্ছে।
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রকল্পটি লিঙ্গ-সংবেদনশীল স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজন কার্যক্রমের মাধ্যমে সহনশীল জীবিকা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেবে।সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মণ্ডল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আব্দুল করীম, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কানিজ মোস্তফা, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুরাইয়া সিদ্দিকা, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. শরীফুল ইসলাম, এবং কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রমা রহমান, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি মো. আশরাফুজ্জামান। আলোচকরা বলেন, নারী-পুরুষ, শ্রেণী ও জাতিগত ভেদাভেদ দূর করে সমান সুযোগ ও মর্যাদা নিশ্চিত করার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই সমাজ গঠনের পথে এই প্রকল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।