দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

সুন্দরবনে অবৈধ ডুবোজাল ও বিষ দিয়ে মাছ শিকার 

33
শচীন্দ্রনাথ মন্ডল, দাকোপ খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার দাকোপ উপজেলায় পর্ব ও পশ্চিম বন বিভাগের মধ্যে  সুন্দরবনে অবৈধ ডুবো জাল ও বিষ দিয়ে মাছ ধরা অব্যহত। পাশাপাশিনিষিদ্ধ এলাকায় চলছে বিষ দিয়ে মাছশিকার। এতে  সুন্দরবনমৎস্য সম্পদ শূন্য হওয়ার উপক্রম হয়ে দেখা  দিয়েছে।
এ ধারাঅব্যহত থাকলে ভবিষ্যত প্রজন্ম পুষ্টির অভাবে নানা ধরনের  রোগে আক্রান্ত হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
সুন্দরবন সংশ্লিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিনপাশ-পারমিটবন্ধ থাকার পর ১লা সেপ্টেম্বর থেকেপাশ-পারমিট শুরুহয়। কিন্তু এরআগেই সুন্দর বনে প্রবেশকরে জেলেরা। শুরুহয়খাল দখলেরলড়াই। যারাঅবৈধ অর্থ দিয়ে  বনবিভাগকে খুশি করতে পারে তাদের ভগ্যে জোটে এ নিষিদ্ধ খাল। এ প্রতিযোগিতায় টিকে আছে আযুবআলী মোল্লা,হানিফ মোল্লা,বাচ্চুসানা,জহরআলী মোল্লাসহআরওঅনেকে।
স্টেশন গুলো থেকে চরপাটারপাশ-পারমিটনিয়ে সুন্দরবনেপ্রবেশের পর চলতে থাকে এঅবৈধ কারবার। ডুবোজাল পেতেমাছআহরণ,বিষদিয়ে মাছনিধন,নিষিদ্ধ এলাকায় অনুপ্রবেশ করে মৎস্য সম্পদ ধ্বংশের  পায়তারায়  লিপ্ত  হয়ে পড়েছে কতিপয়   ডিপোমালিকেরা। এদের সাথে রয়েছে  বনবিভাগের  বিশেষসখ্যতা। ভারতের রিপকর্ট ও ওস্তাদ নামের বিষ ব্যাবহারকরে সুন্দরবন মৎস্য সম্পদ শূন্য হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নামপ্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, সুন্দরবনের ঝাঁপসি, বয়ারশিং, মনসা, ছোটহলদি, বড়হলদি,হাড্ডরা, ছোটসাহেবখালী, বড়সাহেবখালী, আদাচাইসহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ খাল এলাকায় চলছে আমাদের   এসব  অবৈধ  কারবার। সুন্দরবনের  ঝাঁপসি,আদাচাই,শিবসাটহলফাড়িতে অতিরিক্ত অর্থ দিতে হয় বলে জানান।
নামকাওয়াস্তে মাঝে মধ্যে দু একটি অভিজান পরিচালনা করা হয় লোক দেখানোর জন্য। টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার ও অভিযোগ রয়েছে এসব জেলেদের।
খোঁজ নিয়ে জানাযায় ,বানিয়াখালী ও কাশিরাবাদ এলাকার সর্বত্রই এখন এ অবৈধ  ব্যাবসা চলছে রমরমাভাবে। এসব অবৈধ মাছ মংলার দিগরাজ  ও শিবসা নদীদিয়ে  রাতের  আধারে ট্রলারযোগে খুলনার রূপসা ও ভাগাবাজারে এসব মাছ বিক্রয় করা হয়। এদের নিয়ন্ত্রন করে সাহেব আলী নামে জনৈক রুপসার মৎস ব্যাবসায়ী। বিষযুক্ত মাছ মানুষের শরীরের নার্ভের ক্ষতি করে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারনা।
স্থানীয়দের দাবি, আযুব মোল্লা, হানিফ মোল্লা, বাচ্চুসানা, জহরআলী, হোসেন সানা, রফিক সরদারসহঅবৈধ ডিপো মালিকদের পাশ-পারমিটবন্ধকরে দেয়া হোক।
সিন্ডিগেটেরকারনেপ্রকৃত জেলেরা বেকারহয়েপড়ছে। এ বিষয় কথা হয় কালাবগী এলাকার ডিপো মালিক আযুব আলী মোল্লার সাথে তিনি বিষদিয়ে মাছধরার বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন আমার দের এলাকায় কালাবগী, নলিয়ান বাজারে প্রায় ৩০/৪০ টি ডিপো আছে। আমাদের মাছ স্হানীয় ট্রলার যোগে খুলনা সহ বিভিন্ন আড়তে মাছ নিয়ে যাই। কথা হয় পর্ব বনবিভাগের ঢাংমারী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ সুরোজিত চৌধুরী এর সাথে কথা হলে তিনি বললেন আমাদের টহল ফাঁড়ির পক্ষে টহল জোরদার রয়েছে।
যদি আমরা বিষ দিয়ে মাছমারার কোনো জেলেদের ধরতে পারি তখন আমরা তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করে জেল হাজতে প্রেরন করি। কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা তাদেরকে। তবে সচেতন এলাকাবাসী সুন্দরবনের  এ অবৈধ কারবার বন্ধ করার জন্য  হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.