মোংলা প্রতিনিধি :মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের (সিবিএ) নির্বাচন ইস্যুতে ফের ক্ষোভে-বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে বন্দর এলাকা। গঠিত এডহক কমিটি নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপনসহ সিবিএ’র ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন ও কর্তৃপক্ষের উর্ধ্বতন ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে উদ্ভুদ্ধ পরিস্থিতির সৃস্টি হয়েছে।
এ সকল ইস্যুতে রিববার বিকেল সাড়ে ৫ টায় সিবিএ কার্যলয়ের সামনে বিক্ষাভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বন্দরের কর্মচারীরা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন সিবিএ’র সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম পল্টু, কর্মচারী নেতা ফরহাদ হোসেন ও মনিরুজ্জামান। এ সময় কর্মচারী সংঘের নেতারা অভিযোগ করে বলন, গত বছরের ৮ আগস্ট কর্মচারী সংঘের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন করতে আঞ্চলিক শ্রম অধিদপ্তর এডহক কমিটি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অনুমোদন প্রদাণ করে।
এডহক কমিটির ৪৫ দিনের মধ্যে কর্মচারী সংঘের নির্বাচন সম্পন্ন করার কথা থাকলেও এডহক কমিটির আহবায়ক (মবক কর্মচারী) মতিউর রহমান সাকিব ও সদস্য সচিব মোঃ আসিফ নাইম বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমা দায়েরসহ নানা চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। এতে কর্মচারী সংঘের নির্বাচন না হওয়ায় একদিকে যেমন মবক’র ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারছেনা, অন্যদিকে নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় কর্মচারীরা তাদের ন্যায়সংগত দাবি/অধিকার থেকে বঞ্ছিত হচ্ছে।
এছাড়া কর্মচারী সংঘের ব্যাংক হিসাব হতে এডহক কমিটি অবৈধ অর্থ উত্তোলন করে তছরুপ করছে। এ সকল অনিয়মের বিষয় প্রতিবাদ করায় কর্মচারী সংঘের সাবেক নেতাসহ বন্দর ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বে থাকা উর্ধ্বতন ৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হয়রানী করা হচ্ছে। এমকি নির্বাচনে অংশ নিতে পারে এমন সম্ভব্য প্রার্থীকে কর্মচারী সংঘের সদস্যপদ বাতিল করার অভিযোগ এডহক কমিটির বিরুদ্ধে। এমতাবস্থায় এডহক কমিটির অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ দ্রুত নির্বাচনের দাবি করছেন বন্দরের কর্মচারীরা। অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রায় তিন শতাধিক বন্দর কর্মচারী অংশন নেন।
তবে এডহক কমিটির আহবায়ক (মবক কর্মচারী) মতিউর রহমান সাকিব নানা অনিয়মের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, আইনী জটিলতাসহ নানা কারণে সিবিএ’র নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে। আর সংঘের ব্যাংক হিসেবে থেকে কি পরিমাণ টাকা উত্তোলন করেছেন সে বিষয় কোন মন্তব্য করেননি তিনি।