দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

সিন্ডিকেটে সরকারি ওষুধ পায় না রোগীরা খুমেক হাসপাতালে

68

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিনাম‚ল্যে সরবরাহকৃত ওষুধ পাছে না রোগীরা। জুলাই-আগষ্ট অ¯ি’াতিশীলতার কারনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ওষুধ ক্রয়ে সময়মতো রপত্র আহবান করা যায়নি। ফলে প্রতিবছর ঠিকাদারের মাধ্যমে ক্রয়কৃত ১২২ ধরনের ওষুধের মধ্যে ৭৭ ধরনের ওষুধের ঘাটতি দেখা েিয়ছে। কর্তৃপক্ষ বলছেন দরপত্র ম‚ল্যায়নের পর ঠিকাদার নিয়োগ হলে ওষুধ ক্রয়ে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হবে। ওষুধ ক্রয়ে অর্থ বরাদ্দ হলে প্রয়োজনীয় ওষুধ ক্রয় করা হবে।
অপরদিকে হাসপাতালে এই অব¯’াার মধ্যে প্রায় ১৪ লাখ টাকার ৮ ধরনের ট্যাবলেট ও ইনজেকশন মেয়াদোত্তীর্ন ঝুকিতে পড়েছে। এতে হাসপাতালে ওষুধ ব্যব¯’াাপনায় জড়িতদের বিষয়ে ব্যব¯’াা গ্রহনের দাবি উঠেছে।
জানা যায়, প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ম‚ল্যের ৪২ হাজার পিস লোসাটিয়াম পটাসিয়াম ৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেটে মেয়াােত্তীর্ন হ”েছ চলতি মার্চ মাসেই। অক্টোবরে শেষ হ”েছ ১৯ হাজার ৪শ পিস ক্লোপিডোগ্রেল বাইসালফেট এন্ড অ্যাসপিরিন (নোক্লগ প্লাস) ট্যাবলেটে। যার বিক্রি ম‚ল্য ২ লাখ ৩২ হাজার টাকা। ইনজেকশন ইপ্রাট্রোপিয়াম ব্রোমাইড ০.৫ মি. এন্ড সালবিউটামল ২.৫ মি. (ইপ্রাসল) ২৫ হাজার পিসের মেয়া শেষ হ”েছ নভেম্বরে। যার বিক্রি ম‚ল্য ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
এভাবে খুলনার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন স্টোরে মেয়াদোত্তীর্ন ঝুঁকিতে পড়েছে প্রায় ১৪ লাখ টাকার ৮ ধরনের ট্যাবলেট-ইনজেকশন। নাগরিক নেতারা বলছেন, চিকিৎসক সিন্ডিকেটের কারণে প্রয়োজনহীন ওষুধ ক্রয়ে অর্থ ব্যয় করা হ”েছ। আবার চিকিৎসক-ওষুধ কোম্পানী সিন্ডিকেটে হাসপাতালে সরবরাহ াকলেও বাইরের ফার্মেসী েেক ওষুধ কিনতে বাধ্য করা হয় রোগীদের।
জানা যায়, ৫ ফেব্রæয়ারি খুমেক হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ড মেয়াদোত্তীর্ন ঝুঁকিতে াকা ৮ ধরনের ওষুধের তালিকা করেছে। হাসপাতালে কার্ডিওলজী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মোস্তফা কামাল জানান, হার্টের চিকিৎসায় কার্যকরী ইনজেকশন এনোক্সাপারিন ৬০ মি.গ্রা. ও ৮০ মি.গ্রা. এর চাহিদা দেওয়া হলেও প্রতিবছর ৪০ মি.গ্রা.এর ইনজেকশন কেনা হয়। এবারও গতবছরের ক্রয়কৃত প্রায় সাড়ে ৭শ’ এনোক্সাপারিন ৪০ মি.গ্রা.এর দামি ইনজেকশন স্টোরে পড়ে আছে। তিনি বলেন, হাসপাতালের পুরানো প্রশাসন যেসব ওষুধ কিনেছে তার মধ্যে প্রায় ৪২ হাজার লোসাটিয়াম পটাসিয়াম ট্যাবলেট মেয়াদোত্তীর্ন ঝুঁকিতে পড়েছে। আউটডোরে প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী চিকিৎসা নেয়। সেখানে এই ওষুধ ব্যবহার করা হলে সরকারি অর্রে অপচয় হতো না।
জানা যায়, হাসপাতালে সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক ও তত্ত¡াবধায়ক ডাঃ আক্তারুজ্জামানের ায়িত্ব পালনকালে কয়েকজন চিকিৎসকের মধ্যে সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। অভিযোগ রয়েছে ওই সময় বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর সাথে যোগসাজসে হাসপাতালে সরবরাহ থাকলেও সেই ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে রোগীকে বাধ্য করা হতো। এতে রোগীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মেডিসিন স্টোর কিপার অশোক কুমার হালদার জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ক্রয়কৃত ৮ ধরনের ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ন ঝুঁকিতে থাকায় তালিকা করে প্রয়োজনে অন্য স্বা¯’্যা প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তরের উ্েযাগ নেওয়া হয়েছে। স্বল্প মেয়াদী অন্য ওষুধগুলো হ”েছ-ফেনোবারবিটাল ৬০ মি.গ্রা. ইনজেকশন মিডাজোলাম হাইড্রোক্লোরাইড ১৫ মি.গ্রা. জেনটমাইসিন ২ মি.গ্রা. জি-এড্রোনালিন ও কলেরা স্যালাইন ৫০০ মি.গ্রা. ইনজেকশন। হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ মোহসীন আলী ফরাজী জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ওষুধ ক্রয়ে সময়মতো দরপত্র আহবান করা যায়নি। ফলে হাসপাতালে বেশকিছু ওষুধের ঘাটতি রয়েছে। তবে ঠিকাদার নিয়োগের পর ওষুধ ক্রয়ে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হবে। ওষুধ ক্রয়ে অর্থ বরাদ্দ হলে প্রয়োজনীয় ওষুধ ক্রয় করা হবে।
মেয়াােত্তীর্ন ঝুকিতে পড়া ওষুধ সম্পর্কে তিনি বলেন, যেসব ওষুধের মেয়া স্বল্প সময় আছে সেগুলো আউটডোরে ওেয়া হয়েছে। যার একপাতা লাগবে তাকে দুই তিন পাতা েিত বলা হয়েছে। কেন এই বিপুল পরিমান ওষুধ রয়ে গেছে বা এর সাথে কোন সিন্ডিকেট জড়িত আছে কিনা তথ্য সংগ্রহ করা হ”েছ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.