খুলনার আটরা মিরেরডাঙ্গা ও শিরোমনি শিল্প এলাকার মহসেন,সোনালী, এজাক্স, জুট স্পিনার্স, আফিল, হুগলী বিস্কুট কোম্পানী সহ সকল মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের পিএফ, গ্রাইচুটি সহ যাবতীয় পাওনাদী শ্রম আইন মোতাবেক এককালীন পরিশোধ ও শ্রমিক ঠকানো ফ্যাসিষ্ট মালিকদের অতিদ্রত আইনের আওতায় আনার দাবিতে বুধবার বেলা ১২ টায় খুলনা প্রেসক্লাবে হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে বেসরকারী পাট, সুতা , বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন (রেজিঃ নং ১০) সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বেসরকারি পাট সুতা বস্তু কল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম রসুল খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ সভা সভাপতি মাস্টার শফিকুল আলম। বেসরকারি পাট সুতা বস্তু কল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম ।
খুলনা মহনগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী। বেসরকারি পাট সুতা বস্তু কল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ তারেক।
প্রচার সম্পাদক ওবায়দুর রহমান। শ্রমিক নেতা কাজী মুস্তাফিজুর রহমান, ওদুদ হোসেন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শ্রমিক নেতা গোলাম রসুল খান বলেন ফ্যাসিষ্ট সরকারের সময়ে ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা লোন নেওয়া হয়েছিলো শিল্প কলকারখানা সচল করা হবে বলে , কিন্তু তা না করে সে টাকা ফ্যাসিষ্ট মালিকরা ভাগবটোয়ারা করে নিয়েছে, মহসেন মিল থেকে রাতের আধারে খানজাহান আলী থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ম্যাশিনারীজ সহ কোটি কোটি টাকার মালামাল লুট করেছে । আফিল মিলের মালিক ফুলতলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন ক্ষমতার অপব্যাবহার করে শ্রমিকদের চুড়ান্ত পাওনা পরিশোধ না করে জোরপুর্বক ষ্টাম্পে সাক্ষর করে নিয়েছে।
এ্যাজাক্স জুট মিলে কাওসার জামান বাবলা নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে শ্রমিকদের দেনা পাওনা পরিশোধ না করে মিল লুটপাট এর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, সোনালী জুট মিলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা তালুকদার মিম বিভিন্ন কায়দায় এখনও মিলের ম্যাশিনারীজ সহ মালামাল লুটপাট করছে, জুট স্পিনার্স মিলের মালিকপক্ষ ফ্যাসিষ্ট এর কথা মতো মিল পরিচালনা করছে এবং শ্রমিক ঠকানো হচ্ছে। হুগলী কোঃ মালিক শ্রমিকের দেনা পাওনা পরিশোধ না করে মিল থেকে মালামাল রাতের আধারে লুটপাট করছে। সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামি ১৬ মে শুক্রবার বিকাল ৫ টায় মিরেরডাঙ্গা শিল্প এলাকার সোনালী জুট মিল থেকে বিক্ষোভ মিছিল।
আগামি ২০ মে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ডিসি অফিসের সামনে অনশন কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়। এবং পরবর্তিতে শ্রম উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করে শ্রমিকদের দুঃখ দুর্দশা তুলে ধরা হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।তারপরে যদি সমস্যার সমাধান না হয় লাগাতার রাজপথ রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষনা হুশিয়ারী দেওয়া হয় ।