শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার সংগ্রামে এক ও ঐক্যবদ্ধ কন্ঠ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন—-মহানগরী আমীর
ইমারত নির্মাণ শ্রমিকদের সম্মানে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রীতি সমাবেশ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, নির্মাণকাজটি খুবই ঝুঁঁকিপূর্ণ। এ শিল্পের সঙ্গে লাখো নির্মাণ শ্রমিক জড়িত। এ শিল্পের শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে কাজ করেন।
এ কারণে তিনি নির্মাণ শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া, পেনশন স্কিম, রেশনিং ব্যবস্থা এবং বাসস্থান-কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার সংগ্রামে এক ও ঐক্যবদ্ধ কন্ঠ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন শ্রমিকদের মর্যাদা রক্ষায় সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। তাদের ন্যূনতম মজুরি, ছুটি, বেতন বৃদ্ধি, চিকিৎসা ভাতাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা বাস্তবায়নে বিভিন্ন কারখানা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ আলোচনা অব্যাহত রেখেছে।
সকল সেক্টরের শ্রমিকদের নিয়ে আজ ঐক্যবদ্ধ এক শক্তির নাম বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন। তিনি বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা ও মর্যাদা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নই শ্রমিক সমাজের মুক্তির পথ।” মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে খালিশপুর থানা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি. নং-খুলনা-২৫২০) এর উদ্যোগে ইমারত নির্মাণ শ্রমিকদের সম্মানে অনুষ্টিত প্রীতি সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
নগরীর খালিশপুরস্থ বিআইডিসি সড়কে অবস্থিত মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কার্যালয়ে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি আসাদুল্লাহিল গালিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন এর পরিচালনায় প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মাস্টার শফিকুল আলম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, সহ সভাপতি এস এম মাহফুজুর রহমান ও খালিশপুর থানা সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে জামায়াত নেতা হামিদুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, শ্রমিক নেতা হেলাল উদ্দিন, বুলবুল কবির, সাঈদুর রহমান, আব্দুর রহমান,মাসুদ শেখ, মাসুদ হাওলাদার, বদরুর রশিদ মিন্টু, সাইফুল ইসলাম, শামীম হাওলাদার, মুহিব্বুর রসুল, মুজাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, নাসির উদ্দিনের, নাসরুল্লাহ, মাসুদ রানা, সাইফুল ইসলাম, রাজু হোসেন, শহিদুল ইসলাম, রকিবুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান, জাহিদুল ইসলাম চুন্নু, বেবি জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মাস্টার শফিকুল আলম বলেন, শ্রমিকরা নানাভাবে তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শ্রমিকদের দাবী ও ইসলামের দৃষ্টিতে শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন। শ্রমিক নেতারা ঐক্যবদ্ধ হলে শ্রমিকদের দুর্দশা লাঘব করা যাবে। মেহনতি শ্রমিকদের জন্য শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে কোন ছাড় দেওয়া যাবে না। শ্রমিকদের মানবিক মর্যাদা ও পূর্ণ অধিকার আদায়ে আমরা সদা সজাগ থাকব। তিনি বলেন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের পতনের পর একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু সেই সরকারের কার্যক্রমকে ব্যর্থ করতে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের পথে তারা বাধা সৃষ্টি করছে।
মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী বলেন, শুধু ক্ষমতার হাতবদলের জন্যই জুলাই-আগস্ট বিপ্লব হয়নি। এ বিপ্লবের মূল লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্রে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা। তাই কেবল নির্বাচন নয়, বরং তার পূর্বে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার এবং বিচার নিশ্চিত করাই হবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রধান শর্ত।