খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পেশাগত সহকারি অমরেশ চন্দ্র ঢালী জানান, দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত খুলনায় বৃষ্টি হয়েছে ১ দশমিক ২ মিলিমিটার।
নিম্নচাপটি মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১১৪০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৪০ কি.মি. দক্ষিণ পশ্চিম, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৯০ কি.মি. দক্ষিণ পশ্চিমে এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪০ কি.মি. দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় 8০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
এদিকে বৃষ্টির কারণে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে পানি জমে গাড়ি চলাচল ধীর হয়ে পড়েছে। পথচারীদের ছাতা বা বৃষ্টি কোট ব্যবহার করেও দুর্ভোগ কমছে না। বিশেষ করে রিক্সা ও মোটরসাইকেল চালকদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বেশি।
নগরীর গল্লামারী এলাকার রন্টি রায় জানান, বৃষ্টির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে প্রভাব পড়েছে। সকালবেলার কাঁচাবাজারে ক্রেতা-সমাগম ছিল কম। সবজি ও মাছের দাম সামান্য বেড়ে গেছে। শীতের দিনে এমন বৃষ্টিতে মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হতে পারছে না।
অন্যদিকে, শহরের কিছু মানুষ এই আবহাওয়াকে উপভোগ করছেন। গরম চা বা কফির কাপে ঠোঁট ছোঁয়াতে ছোঁয়াতে তারা শীতের বৃষ্টিকে দারুণ এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হিসেবে বরণ করছেন। ছোট্ট শিশুরা জানালার পাশে বসে ঝিরঝির বৃষ্টি দেখছে।
রিক্স চালক মোঃ মামুন জানান, সব ভিজে গেছি। শীত লাগছে। তাই মাঝে মাঝে চা খাচ্ছি।
শহরের স্থবির জীবন দুই দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন আবহাওয়া অফিস।