র্যাবকে পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে ইতোমধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের ৯ম সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) আধুনিক, জবাবদিহিমূলক ও পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতেই এই পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সভায় পুলিশ বাহিনীর মারণাস্ত্র ব্যবহারের বিষয়েও বড় সিদ্ধান্ত আসে। উপদেষ্টা জানান, সাধারণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের হাতে কোনো মারণাস্ত্র থাকবে না। এই পদক্ষেপ জননিরাপত্তা ও মানবাধিকার নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাশাপাশি ঈদের আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ও ভাতা পরিশোধের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা দ্রুত পরিশোধ করতে হবে, তবে তাদের কোনো ‘অবৈধ’ দাবি বরদাশত করা হবে না। অশান্তি সৃষ্টি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়া ঈদকে ঘিরে গরুর হাটে চাঁদাবাজি বন্ধে প্রতি হাটে ১০০ জন আনসার মোতায়েনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিতে সড়কে চাঁদাবাজি ঠেকাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে।