রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন আগামী বছরের মধ্যেই সম্ভব হবে কিনা, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শনিবার ভোরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শফিকুল আলম বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে অগ্রগতি সত্ত্বেও রাখাইনে আরাকান আর্মির (এএ) দখলদারিত্ব পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। তবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে এবং আন্তর্জাতিক চাপ বজায় থাকলে একটি সম্মানজনক প্রত্যাবাসন সম্ভব।
তিনি অভিযোগ করেন, মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে খুশি করতে একসময় কিছু কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থা রোহিঙ্গাদের প্রকৃত পরিচয় আড়াল করে তাদের “FDMN” নামে অভিহিত করে। এটি ছিল একটি কৌশল, যা রোহিঙ্গাদের অস্তিত্ব অস্বীকারের সমার্থক। অথচ রোহিঙ্গারা একটি ঐতিহ্যবাহী জাতি—শতাব্দীপ্রাচীন ইতিহাস, সংস্কৃতি ও অধিকার যাদের রয়েছে।
প্রেস সচিব জানান, চীনের কুনমিং ও ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের বৈঠকে বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধি দল মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে আলোচনা করে রোহিঙ্গাদের ‘FDMN’ নয়, ‘রোহিঙ্গা’ নামেই চিহ্নিত করার দাবি তোলে। পরে জান্তার কর্মকর্তারাও সেই পরিচয় স্বীকার করতে বাধ্য হন।
শফিকুল আলম বলেন, “আমরা জানি, পথ কঠিন। তবে আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা এখন আরও জোরালো। মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে যাতে তারা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, মর্যাদার সঙ্গে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ফিরিয়ে নেয়।”
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ও চাপ অব্যাহত রাখা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।