রাখাইনে মানবিক সহায়তা পাঠানোর জন্য বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে করিডোর তৈরির প্রস্তাবে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। রোববার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী রাখাইনের জন্য মানবিক করিডোর চালুর বিষয়টি বাংলাদেশ ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করেছে। তবে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত রয়েছে। শর্তগুলো পূরণ হলেই সহায়তা কার্যক্রমে অংশ নেবে বাংলাদেশ। যদিও কী শর্ত রয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। কারণ লাখ লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে। তাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করাই বাংলাদেশের অন্যতম অগ্রাধিকার।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে নেই। বরং নন-স্টেট অ্যাক্টররা পুরো সীমান্ত এলাকাজুড়ে প্রভাব বিস্তার করছে। এ অবস্থায় সরাসরি আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ সম্ভব না হলেও, বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন থাকতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাখাইন রাজ্যের নিরাপত্তা ও মানবিক অবস্থা দিন দিন আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠছে। জাতিসংঘ চায় বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিয়ে মিয়ানমারের বিপন্ন জনগণের পাশে দাঁড়াতে।
বাংলাদেশের এই নীতিগত সম্মতি রাখাইনে নতুন করে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তার দ্বার খুলে দিতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।