গাজায় হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল এবং যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখার পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে ইসরাইলের মন্ত্রিসভা। রোববার অনুষ্ঠিত গোপন ভোটে এই প্রস্তাবে অধিকাংশ মন্ত্রী সম্মতি দেন। সোমবার ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম কান-এর এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
সরকারি সূত্র জানায়, প্রস্তাব বাস্তবায়নে এখন আর কোনও প্রশাসনিক বাধা নেই। তবে প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু নেতৃত্বাধীন সরকার ধীরে এগোতে চায়। আগামী ছয় মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
‘নিউ হোপ’ পার্টির নেতা ও মন্ত্রিসভার সদস্য জিভ এলকিন জানিয়েছেন, “আমরা এখনই অভিযান জোরদার করছি না। কারণ বন্দি বিনিময়ের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। হামাস যদি সব ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়, তাহলে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ না হওয়া পর্যন্ত আলোচনার দরজা খোলা থাকবে। তবে হামাসকে এবার বুঝতে হবে, ইসরাইল তার অবস্থানে কঠোর।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর সামরিক অভিযান শুরু হয়। এখন পর্যন্ত গাজার এক-তৃতীয়াংশ এলাকা দখলে নিয়েছে আইডিএফ। যদিও এলকিন দাবি করেন, এটি স্থায়ী দখল নয়— হামাস পরাজয় মেনে নিলে ইসরাইল সরে আসবে।
আইডিএফ জানিয়েছে, নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণ গাজায় সরিয়ে মানবিক সহায়তা দেওয়া হবে। তবে এসব সাহায্য যেন হামাসের হাতে না পড়ে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকবে ইসরাইল।