যশোর মনিরামপুরে দিন দুপুরে ছিনতাই

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ‘নগদ’ ছিনতাই রহস্য উদঘাটন গ্রেফতার ৭, উদ্ধার ৩২ লাখ টাকা। জানা যায় যশোরের মণিরামপুর উপজেলার জামতলা এলাকায় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত ৩৫ লাখ টাকার ঘটনায় নাটকীয় মোড় নিয়েছে।

মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশি অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার ও ছিনতাইকৃত ৩২ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।গত ১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে ‘নগদ’-এর ডিস্ট্রিবিউটর মোঃ রবিউল ইসলাম যশোর থেকে মণিরামপুর যাচ্ছিলেন।

পথে জামতলা মোড়ে পেছন থেকে আসা দুটি মোটরসাইকেলে করে দুর্বৃত্তরা তার প্রাইভেটকারের গতি রোধ করে। তারা চাপাতি হাতে গাড়ির গ্লাস ভেঙে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে থাকা ৩৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার পরপরই ভিকটিম জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে অবহিত করেন।যশোর জেলা পুলিশ সুপার রওনক জাহান এর নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী-এর তত্ত্বাবধানে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার, সহকারী পুলিশ সুপার ইমদাদুল হক, ডিবি ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল সহ পুলিশের একাধিক টিম দ্রুত অভিযানে নামে।

ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি RTR মোটরসাইকেলের সূত্র ধরে আসামি মোঃ সাগর হোসেন-কে ঝিকরগাছা উপজেলার খোষালনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ধরা পড়ে পুরো চক্র।গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্য মোঃ ইউসুফ আলী সাজু (৩১), মোঃ রনি গাজী (২৬) পিতা: মোঃ ইসরাইল গাজী।

, মোঃ সাগর হোসেন (২৪) ,মোঃ সুজন ইসলাম (৩৩),মোঃ সোহেল রানা (২১)পিতা: মোঃ মজনুর রহমান,মোঃ ইমদাদুল গাজী (৪৬),পিতা: মোঃ নাসিম গাজী (১৯),পিতা: মোঃ ইমদাদুল গাজী,

উদ্ধারকৃত আলামত:ছিনতাইকৃত নগদ ৩২,০৫,৫০০ টাকা,একটি RTR মোটরসাইকেল,টাকা বহনের একটি ব্যাগ,ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত দুইটি চাপাতি।জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করে, ‘নগদ’-এর ডিস্ট্রিবিউটর বহনকারী গাড়ির চালক মোঃ ইউসুফ আলী সাজু-এর যোগসাজশে তারা পরিকল্পিতভাবে ছিনতাইটি সংঘটিত করে।

মাত্র এক দিনের মধ্যে এ ধরনের চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং আসামি গ্রেফতার করে বিপুল অঙ্কের টাকা উদ্ধার করায় যশোর জেলা পুলিশ প্রশংসার দাবি রাখে। এই অভিযান সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।