দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

মোংলা বন্দরে পন্য আমদানী-রফতানীতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন

২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ৩৪৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা রাজস্ব আয়

50

মোংলা বন্দরে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে দেশ-বিদেশী জাহাজ আগমন ও পন্য আমদানী-রফতানীতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস কন্ফারেন্সের আয়োজন করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এ কন্ফারন্সে বন্দর কর্তৃপক্ষের (সদস্য অর্থ) কাজী আবেদ হোসেন বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে মোংলা সমুদ্র বন্দরে জাহাজ এসেছে ৮৩০টি। আর জাহাজ আগমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০০টি। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে কার্গো হ্যান্ডলিং ( পন্য আমদানী-রফতানী) হয়েছে ১০৪.১২ লাখ মেট্টিক টন, লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৮.৮০ লাখ মেট্টিক টন।

২০২৪-২৫ অর্থ বছরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ২১, ৪৫৬ টিইইউজ, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০,০০০ টিইইউজ। যা থেকে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে রাজস্ব আয় হয়েছে ৩৪৩ কোটব ৩৩ লাখ টাকা। আর গত বছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩৩ কোটব ৮৭ লাখ টাকা। এছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে গাড়ী আমদানী হয়েছে ১১ হাজার ৫৭৯টি ইউনিট।

তিনি আরো বলেন, মোংলা বন্দরে বছরে ১ হাজার ৫০০টি জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা রয়েছে। আর কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা রয়েছে ১.৫ কোটি মেট্টিক টন। কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা ১ লাখ টিইইউজ ও গাড়ী হ্যান্ডলিং সক্ষমতা ২০,০০০ ইউনিট।

তিনি বলেন, মোংলা বন্দরে আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ গুলো হলো ক্যাপিটাল ও সংরক্ষণ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ১৪৪ কিলোমিটার পশুর চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধি এবং তা সর্ব ক্ষনিক সংরক্ষণে রাখা। এছাড়া নিরাপদ ও দূষণমুক্ত পরিবেশ বান্ধব চ্যানেল নিশ্চিতকরণ। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রমের সাথে সামজস্য রেখে ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণের জন্য বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি হয়েছে মোংলা বন্দরে।

বন্দরের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করার জন্য পুরাতন সহায়ক জলযান প্রতিস্থাপন ও নতুন জলযান সংগ্রহ করা। এখন কাজ হলো বিদ্যমান জলযান ও ইকুইপমেন্ট মেরামত সুবিধা সৃষ্টি করা। দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবল সৃষ্টি করা। বন্দরের সকল ক্ষেত্রেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (বোর্ড) কালাচাঁদ সিংহ, প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, প্রধান হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার রাসেল আহমেদ খাঁন, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কমান্ডার এস,এম আবজালুল ইসলাম, উপ-পরিচালক (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) মোঃ মাকরুজ্জামান ও উপ প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান সহ বন্দরের উর্ধতন কর্মকর্তা কর্মচারীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বন্দরের (সদস্য অর্থ) যুগ্ম সচিব সংবাদিকদের বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে মোংলা বন্দরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সুন্দরবনের কোলঘেঁষে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা দেশের এই দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দরটি সারাবিশ্বের সমুদ্র বাণিজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘হাব’ হয়ে উঠেছে। বর্তমান সরকারের সুদৃষ্টি, আন্তরিকতা, পৃষ্ঠপোষকতা এবং সংস্থাটির চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমানের নেতৃত্বে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে মোংলা বন্দর। তাই বিগত অর্থ বছরগুলোর তুলনায়র গত অর্থ বছরে সফলতা অর্জন করতে আমার সক্ষম হয়েছি।

এছাড়া বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে, নতুন ধরনের পণ্য খালাসের সুবিধা প্রদান করতে আর পণ্য ওঠানামার পাশাপাশি সেবার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে তিলে তিলে নতুন মাত্রায় গড়ে তোলা হচ্ছে মোংলা বন্দরকে। আজকের মোংলা বন্দর বিগত দিনের চেয়ে আরও বেশি কর্মক্ষম এবং আগামীর মোংলা বন্দর হতে যাচ্ছে আরও আকর্ষণীয়, আরও সমৃদ্ধ এবং আরও বেশি কার্যকর।
বন্দরের সক্ষমতা আগের তুলনায় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ আগমন নির্গমনের ক্ষেত্রে মোংলা বন্দর শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।

বন্দরে বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন বাড়াতে এবং আমদানি রপ্তানি আরো গতিশীল করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত শুরু করতে চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।

প্রকল্প দুটি হল ৬টি জেটি নির্মাণ ও ইনারবার ড্রেজিং প্রকল্প। এই ৬টি জেটি নির্মাণ সম্পন্ন হলে মোংলা বন্দরে কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং বন্দরের সার্বিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আসবে বলে আশা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.