দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

মোংলা বন্দরের ব্যবহার বাড়াতে পারলে চিটাগংয়ের যানজট কমবে, কার্যক্রম বাড়বে, খরচ কমবে ও জনগণ বেনিফিট হবে…এনবিআর চেয়ারম্যান

58

মোংলা প্রতিনিধি :জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রহমান খান বলেছেন, আমরা গত তিন মাস বাজেট নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম। এখন আমরা বুঝতে চাই আমাদের ফিল্ড লেভেলে কি কি সমস্যা আছে।

যেমন মোংলা পোর্টকে ভাল করে বুঝা, মোংলা পোর্টের ফ্যাসিলিটি বুঝা। কতটুকু কাজ আমরা এখানে করছি, আরো কি পরিমাণ লোড আমরা নিতে পারবো। এখানে কি ধরণের সমস্যা রয়েছে, সেগুলো শোনা। পোর্টের ব্যবহার আরো কিভাবে বাড়ানো যায়। পোর্টে ব্যবহারকারী যারা আছেন তাদের কি ধরণের সমস্যা হচ্ছে। আমাদের অফিসার যারা এখানে কাজ করেন তাদের কি ধরণের সমস্যা হচ্ছে। তাদেরকে আমরা আরো কিভাবে সহায়তা করতে পারি। এসব কিছু আমরা যাতে বুঝে শুনে ব্যবস্থা নিতে পারি, আজকের সফরের এটাই মুল উদ্দেশ্য।

তিনি আরো বলেন, আমরা মোংলা কাস্টমস হাউসের অপারেশনাল ক্যাপাসিটিকে আরো বেশি ব্যবহার করতে চাই। ব্যবসায়ীরা যাতে এই সুযোগটা নেয়। আমাদের চিটাগং পোর্টের যে ধরণের ব্যবহার, ব্যস্ততা, সেই হিসেবে আমাদের মোংলা পোর্টের ব্যবহার খুবই কম। এখানে যদি আমরা ব্যবহার বাড়াতে পারি তাহলে চিটাগংয়ের যানজট কমবে। চিটাগংয়ের অপারেশন কার্যক্রম বাড়বে, খরচ কমবে এবং জনগণ বেনিফিট হবে। মোংলায় এমনিতেই গাড়ী বেশি আসে। সব গাড়ী আমরা মোংলায় আনতে পারি কিনা সেটা নিয়ে আমরা গাড়ী ব্যবসায়ীদের সাথে কয়েকবার বসেছি। আবারো বসবো। এখানে ব্যবসায়ীরা আসলে সহজে সার্ভিস পাবে। এতে ব্যবসায়ীরা যদি উপকৃত হন তাহলে তারা যেন এ বন্দর ব্যবহার বাড়ান।

মঙ্গলবার সকালে মোংলা কাস্টমস হাউসের সুন্দরবন সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেন। আর সকালে এসেই তিনি প্রথমেই রাজস্ব বৈঠক করেন কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে। এ বৈঠকের আগে তিনি মোংলা বন্দর জেটি পরিদর্শন করেন।

এ সময় তার সাথে ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টমস নীতি ও আইসিটি) মুহাম্মদ মুবিনুল কবীর, সদস্য (কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসন) মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, একান্ত সচিব আতাউল গনি ওসমানী ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মোংলা কাস্টমস হাউসের কমিশনার মু. সফিউজ্জামান, খুলনা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনার, খুলনার কমিশনার কর কমিশন ও কর অঞ্চল।

মোংলা কাস্টমস হাউসের কমিশনার মু. সফিউজ্জামান বলেন, মোংলা কাস্টমস হাউসের সরকারী অফিস ও আবাসিক ব্যবস্থা নেই। এসব বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। কাস্টমসের বিদ্যমান সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধির দাবী জানানো হয়েছে। এছাড়া এনবিআর চেয়ারম্যান মহোদয় মোংলা বন্দর, মোংলা কাস্টমস হাউস ও ব্যবসায়ীদের সমস্যা, সুবিধাবাদী যাচাইয়ে বৈঠক এবং এ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আমরা ব্যবসায়ীদের বুঝাচ্ছি মোংলা বন্দরে দ্রুত মালামাল খালাস হয়। এখানে চিটাগংয়ের তুলনায় পোর্ট ডেমারেজও কম। এছাড়া এনবিআর’র পক্ষ থেকে আমদানীকৃত সকল গাড়ী মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানীরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। সকল সংকট দূর ও ব্যবসায়ীদের সুবিধা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মহোদয়। #

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.