দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

মোংলা বন্দরের পশুর নদীর চরে ডুবে গেছে ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই কার্গো জাহাজ

নৌযান চলাচল স্বাভাবিক

19

মোংলা বন্দরের পশুর নদীর চরে ডুবে গেছে ফ্লাইঅ্যাশ (সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল) বোঝাই কার্গো জাহাজ। শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে মোংলা নদী ও পশু নদীর ত্রিমোহনা সংলগ্ন চরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজ এম,ভি মিজান-০১ এর ড্রাইভার মোঃ শওকত শেখ জানান, তাদের জাহাজটি পশুর চ্যানেলে এ্যাংকর করা অবস্থায় ছিল। শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে এম,ভি কে আলম গুলশান-০২ নামক লাইটার কার্গো জাহাজ এ্যাংকর করে থাকা এম,ভি মিজান-০১ কার্গো জাহাজের উপর উঠিয়ে দেয়। এ সময় লাইটার কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ওই কার্গো জাহাজটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটিতে ৯১৪ মেট্টিক টন ফ্লাইঅ্যাশ ছিল। ভারতের কলকাতার ভেন্ডেল এলাকা থেকে এ ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই করেছিল মিজান-১। ঢাকার নারায়ণগঞ্জের বসুন্ধরার ঘাটে যাওয়ার পথিমধ্যে যাত্রাবিরতিকালে মোংলা বন্দরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ড্রাইভার শওকত বলেন, লাইটার জাহাজের ধাক্কায় তাদের কার্গো জাহাজের পাশ ও তলা ফেটে নদীতে ডুবে গেছে। ওই জাহাজে থাকা ১০জন স্টাফই সাঁতরিয়ে কুলে উঠে এখন নিরাপদ রয়েছেন।

এদিকে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের চরে এ নৌযান দুর্ঘটনা ঘটলেও বন্দর চ্যানেল পুরোপুরি নিরাপদ রয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ মোঃ মাকরুজ্জামান বলেন, কার্গো জাহাজ এম,ভি মিজান-১ অপর একটি লাইটার জাহাজ এম,ভি কে আলম গুলশান-০২ এর ধাক্কায় পশুর নদীর চরে ডুবে গেছে। তবে বন্দর চ্যানেল সুরক্ষিত রয়েছে। বন্দর চ্যানেল দিয়ে সকল ধরণের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বন্দরের উদ্ধারকারী টাগ বোট এম,টি অগ্নি প্রহরী। এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজটি দ্রুত উত্তোলন ও সরিয়ে নেয়ার জন্য জাহাজ মালিককে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.