দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

মানি লন্ডারিং মামলায় তারেক মামুন খালাস

57

সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার সকালে এই রায় ঘোষণা করেন।গত মঙ্গলবার আপিলের ওপর শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের একই বেঞ্চ মামুনের করা আপিল আবেদন গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও আইনজীবী জাকির হোসেন।২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর তারেক ও মামুনকে আসামি করে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অভিযোগে বলা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ নির্মাণ কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন মামুন। ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে ওই টাকা বিভিন্ন পদ্ধতিতে সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের ব্যাংক হিসাবে পাচার করা হয়। ওই টাকার মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা তুলে খরচ করেন তারেক রহমান। ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর এ মামলায় রায় দেন ঢাকার আদালত। রায়ে তারেক রহমানকে খালাস এবং গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছর কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করেন। এরপর দুদকের করা আপিলের সঙ্গে কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিলের শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া বিচারিক আদালতের রায়ে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া ৭ বছরের কারাদণ্ডও বহাল রাখেন হাইকোর্ট। তবে মামুনকে দেওয়া ৪০ কোটি টাকার জরিমানা কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিলের শুনানি নিয়ে ১০ ডিসেম্বর তা গ্রহণ করেন আপিল বিভাগ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.