বাংলা সাহিত্যের অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন করা হয় । মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর জন্মভিটা কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
কেশবপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মধুসূদনের আবক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন, আরও উপস্থিত ছিলেন কেশবপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কেশবপুর শাখার পৃষ্ঠপোষকতায় মধুসূদন একাডেমির পক্ষ থেকে মধুসূদনের আবক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা, কবিতা আবৃত্তি, মধুগীতি পরিবেশনসহ ড. সুকুমার রায় স্মৃতিবৃত্তি প্রদান করা হয়।
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন কলকাতার আলিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি কেশবপুরের কপোতাক্ষ নদ পারের সাগরদাঁড়ি গ্রামে ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি জমিদার বাবা রাজনারায়ন দত্ত ও মা জাহ্নবী দেবীর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৫৩ সালে তিনি খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করলে তখন থেকে তাঁর নামের সঙ্গে ‘মাইকেল’ যুক্ত হয়। তিনি ‘পদ্মাবতী’ নাটক, ‘একেই বলে সভ্যতা’ ও ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ নামের দু’টি প্রহসন, ‘মেঘনাদবধ কাব্য’, ‘ব্রজাঙ্গনাকাব্য’, ‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটক, ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ ও ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ রচনা করেন। বাংলা সাহিত্যে গাম্ভীর্যপূর্ণ অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক তিনি।
মহাকবির মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠানে স্থানীয়দের পাশাপাশি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কবি সাহিত্যিকদের উপস্থিতি ঘটবে বলে জানা গেছে। মধুসূদন একাডেমি প্রতি বছর সাগরদাঁড়িতে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে আসছে।
এ ব্যাপারে মধুসূদন একাডেমির পরিচালক কবি ও মধুসূদন গবেষক খসরু পারভেজ বলেন, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মধুসূদন একাডেমির উদ্যোগে সাগরদাঁড়িতে কবির আবক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা, কবিতা আবৃত্তি, মধুগীতি পরিবেশনসহ ড. সুকুমার রায় স্মৃতিবৃত্তি প্রদান করা হয় ।