দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

ভিসির অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশনে কুয়েট শিক্ষার্থীরা।

24

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ হয়। এবং ব্যার্থতার দায় সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে। যার ফরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে বয়কট করে।

দীর্ঘ দুই মাস শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস থেকে জোর করে বের করে দিয়ে হল গুলো বন্ধ রাখে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে বাধা দিলেও বহিরাগতরা দিব্বি ক্যাম্পাসে ঢোকার এক্সেস ছিল। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীরা একাধিকবার মিটিং করে হল যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

প্রসাশনকেও হল খুলে দেওয়ার জন্য একাধিকবার তাগিদ দেয়। কিন্তু কুয়েট প্রশাসন হল খোলার ব্যাপারে কোনো আপডেট জানায় না। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা (সকল ডিপার্ট্মেন্টের ভিপি, সিআর, হল কমিটি মেম্বার) সম্মিলিত আলোচনা করে ১৩ এপ্রিল লং মার্চ টু কুয়েট ঘোষণা করে। এই ঘোষণার পর প্রশাসন থেকে ক্যাম্পাসে না আসার জন্য অভিভাবকদের মেসেজ দেয়। তারপরও শিক্ষার্থীরা তাদের সিদ্ধান্তে অটুট থাকে। প্রথমে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দিলেও পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয় প্রশাসন।

পরে দুই রাত হল খুলে দেওয়ার জন্য খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীরা অপেক্ষা করে হলে খুলে দেওয়ার জন্য। প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল যে সিন্ডিকেট মিটিং ছাড়া হল খুলে দেওয়া সম্ভব না। তবে সিন্ডিকেট মিটিং করার পরও ওই দিন হল খুলে দেওয়া হয়নি। বরং ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ তদন্ত ছাড়া সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা দুই রাত থাকার জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়ে জোরপূর্বক হলে প্রবেশ করে।

এর আগে অবশ্য প্রশাসনে ইন্ধনে স্থানীয় এক দিনমজুর কুয়েটের ২২ জন শিক্ষার্থীর নামে ও ১৫-২০ অজ্ঞাতনামা নামে সোনার চেইন ছিনতাই এর মামলা দেয়, যা একান্তই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও লজ্জাজনক। প্রথমে হামলা তারপর মামলা এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার এই সব কিছুর পিছনে ভিসির সম্পৃক্ততা থাকায় শিক্ষার্থীরা বর্তমান ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাসুদ এর পদত্যাগ/অপসারণের ১ দফা দাবি করে। ১ দফা দাবি ঘোষণার ৫ম দিনেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় ভিসির অপসারণ না করা পর্যন্ত আমরণ অনশন শুরু করে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.