দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

ব্যবসায়ীদের দাবি প্রত্যাখ্যান পেট্রোবাংলার, গ্যাস সরবরাহ বেড়েছে ২১%

65

দেশজুড়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাস ঘাটতির অভিযোগে যখন শিল্পপতিরা ক্ষোভে ফুঁসছেন, ঠিক তখনই পাল্টা ব্যাখ্যা নিয়ে হাজির পেট্রোবাংলা। তাদের দাবি—শিল্পখাতে গ্যাস সরবরাহ তো বেড়েছে ২১ শতাংশ, তাহলে সংকট কিসে?

আজ (২৬ মে) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল—এই চার মাসে গড় গ্যাস সরবরাহ দাঁড়িয়েছে ৯৯৭ মিলিয়ন ঘনফুট, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ৮২৩ মিলিয়ন। অর্থাৎ, সরবরাহে ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি। ওই চিঠিটি নিজের ফেসবুক পেইজে প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসও।

ঠিক আগের দিন, ২৫ মে, বিটিএমএ এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, দেশের টেক্সটাইল মিলগুলো এখন মাত্র ৪০-৫০% সক্ষমতায় চলছে। তারা সরাসরি বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটকে দায়ী করে এই ধসের জন্য। বিটিএমএর বক্তব্যের একদিন পরই পেট্রোবাংলা জানায়, কিছু শিল্পসংগঠনের পক্ষ থেকে ‘ভ্রান্ত তথ্য’ ছড়ানো হচ্ছে, যা বাস্তবচিত্র নয়। জানানো হয়, শুধু এপ্রিল মাসেই গ্যাস সরবরাহ বেড়েছে প্রায় ৫০%—যেখানে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সরবরাহ ছিল ৭২৬ এমএমসিএফডি, এবার তা পৌঁছেছে ১০৮৮ এমএমসিএফডিতে।

সরবরাহ বৃদ্ধির পেছনে ছয়টি অতিরিক্ত এলএনজি কার্গো আমদানির কথা জানিয়েছে পেট্রোবাংলা। প্রতি ঘনমিটারে সরকারি খরচ ৬৫ টাকা, অথচ শিল্পে বিক্রি হয় মাত্র ৩০ টাকায়। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ পড়ে ৩১.৫০ টাকা—অর্থাৎ সরকার প্রতি ঘনমিটারে ৩৫ টাকার ভর্তুকি দিচ্ছে।

আরও জানানো হয়, ২৮ মে থেকে প্রতিদিন আরও ১৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হবে। সরকারের দাবি—গ্যাস সংকট মোকাবিলায় তারা সর্বোচ্চ সক্রিয়, দ্রুতই ফল মিলবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.