দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

বড় হার বাংলাদেশের

64

প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ব্যাটাররা। তাতে ইনিংস হারের শঙ্কা উড়িয়ে লিডও পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ছোট পুঁজি নিয়ে বেশিক্ষণ লড়াই করতে পারলেন না বোলাররা। মাত্র ২২ ওভারেই বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেছে প্রোটিয়ারা।

মিরপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

২০২ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩০৭ রানে থামে বাংলাদেশ। ১০৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২২ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

অল্প পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়ে শুরু থেকেই ব্যাটিং করেছেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার এইডেন মার্করাম ও টনি ডি জর্জি।

৪২ রানের সেই উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের দশম ওভারের পঞ্চম বলটি ভালো লেংথে করেছিলেন তাইজুল। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে বেশ খানিকটা টার্ন করে মার্করামের স্টাম্প উপড়ে দেয় বল। সাজঘরে ফেরার আগে ২৭ বলে ২০ রান করেছেন মার্করাম।

আরেক ওপেনার জর্জিকেও ফিরিয়েছেন তাইজুল। দুর্দান্ত ব্যাটিং করা এই তরুণ থেমেছেন ৪১ রানে। এরপর ডেভিড বেডিংহামও তাইজুলের ঘূর্নিতেই আটকে গেছেন। লিটনের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ বলে ১২ রান।

বেডিংহাম ফেরার পর বাকি পথটা নিরাপদেই পাড়ি দিয়েছেন ট্রিস্টিয়ান স্টাবস ও রায়ান রিকেলটন। স্টাবস ৩৭ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।

বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেটই শিকার করেছেন তাইজুল ইসলাম।

এর আগে আজ দিনের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কাগিসো রাবাদার করা ওভারের প্রথম বলে এক রান নেন মিরাজ। পরের বলে এদিন প্রথমবারের মতো স্ট্রাইক নেন নাঈম হাসান। নিচু হয়ে আসা ইনসুইং ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করেছেন নাঈম। বল সরাসরি তার পায়ে আঘাত হানলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ বলে ১৬ রান। এই উইকেট নিয়ে ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেন রাবাদা।

দশে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তাইজুল ইসলাম। ৭ বল খেলে ৭ রান করেছেন তিনি। মুল্ডারের বলে স্ট্রাবসের হাতে ধরা পড়েছেন তাইজুল।

শেষ উইকেট জুটিতে দ্রুত রান তোলায় মন দেন মিরাজ। তবে ভাগ্য তার পক্ষে ছিল না। বাকিদের যাওয়া-আসার মাঝেও এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করেছেন তিনি।

শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন ৯৭ রানে। দুর্দান্ত খেলে কাছাকাছি এসেও সেঞ্চুরি না পাওয়াটা নিশ্চিতভাবেই পুড়াবে মিরাজকে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.