ভালোবাসার টানে ভৌগোলিক সীমানা পেরিয়ে মালয়েশিয়া থেকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথুলী গ্রামে এসেছেন মালয়েশিয়ান তরুণী স্মৃতিনূর আতিকা বিনতে আব্দুল ওহাব (২৮)। তিনি বিয়ে করেছেন বাংলাদেশের ছেলে, ওই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী রিংকু রহমানকে (৩২), যিনি জিনারুল মল্লিকের পুত্র।
শনিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় স্মৃতিনূর আতিকা ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান রিংকু রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা। দুই পরিবারের সম্মতিতে তারা চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি মালয়েশিয়াতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বলে জানিয়েছেন রিংকু।
রিংকু রহমান জানান, ২০১৮ সালে তিনি বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের কাজে মালয়েশিয়ায় যান। যাওয়ার কয়েক মাস পরেই স্মৃতিনূর আতিকার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর কয়েক বছর তারা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ রাখেন। একপর্যায়ে সেই বন্ধুত্ব ভালোবাসায় রূপ নেয়। পরে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উভয় পরিবারের সম্মতিতে মালয়েশিয়ায় তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
রিংকু রহমান আরও জানান, “আমি ছুটিতে বাড়িতে আসলে তারও বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। আমি এখন দেশে আছি, তাই সেও আমাদের বাড়িতে এসেছে।”
তিনি বলেন, “সে ছয় মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে এসেছে। এর মধ্যে তিন মাস অতিবাহিত হয়েছে। ছুটি শেষে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আবার মালয়েশিয়ায় চলে যাবো।”
রিংকু রহমানের পিতা জিনারুল মল্লিক বলেন, “ছেলের পছন্দকে সম্মান জানিয়ে আমরা বিয়েতে সম্মতি দিয়েছিলাম। আমাদের বউমা ভিনদেশী হলেও সবার সঙ্গে মিলেমিশে চলছে। ঘরের খুটিনাটি কাজগুলো সে নিজেই করছে।”
মালয়েশিয়ান তরুণী আসার সংবাদ চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মালয়েশিয়ান তরুণীকে এক নজর দেখতে আজ রবিবার সকাল থেকে রিংকু রহমানের বাড়িতে প্রতিবেশীরা ভিড় জমাচ্ছেন।