দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

নীতিনির্ধারণে তরুণ মতামত: খুলনায় জলবায়ু ও প্রজনন স্বাস্থ্য সংলাপ

28

জলবায়ু পরিবর্তন এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে খুলনার তরুণদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী এক যুব কর্মশালা। সুইডিশ উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা সিডা’র অর্থায়নে এবং ইউএনএফপিএ’র সহায়তায়, সিরাক-বাংলাদেশ বাস্তবায়িত ‘ইয়ুথ ক্যাটালিস্ট’ প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও প্রান্তিক অঞ্চল থেকে আসা ৫০ জনেরও বেশি তরুণ প্রতিনিধি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল জলবায়ু-সংবেদনশীল অঞ্চলের তরুণদের মতামতের ভিত্তিতে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায় নীতিগত পরিবর্তনের জন্য একটি জাতীয় শ্বেতপত্র প্রণয়ন।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সিরাক-বাংলাদেশের প্রোগ্রাম উপ-পরিচালক মোঃ সেলিম মিয়া। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ সাদিকুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুরাইয়া সিদ্দিকা, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আকিব উদ্দিন, এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিঃ স্বাস্থ্যশিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদ, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের সুপার ডাঃ রফিকুল ইসলাম গাজী, ও জেলা পাবলিক হেলথ নার্স সাধন কুমার দাস।পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নতুন জীবাণুর সংক্রমণ বাড়ছে, যা সরাসরি স্বাস্থ্যসেবায় প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাই এখন সময়ের দাবি।”

সিরাক-বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত তার বক্তব্যে বলেন,”তরুণদের নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ এখনও সীমিত। আমরা যদি তাদের মতামতকে সঠিকভাবে নীতিমালায় যুক্ত করতে পারি, তবে তারা জলবায়ু পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্যসেবায় বাস্তবভিত্তিক পরিবর্তন আনতে পারবে।”

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ সাদিকুল ইসলাম বলেন, “প্লাস্টিক দূষণ জলবায়ু পরিবর্তনের বড় হুমকি। তরুণদের মাধ্যমে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়াই হতে পারে টেকসই সমাধান।”
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুরাইয়া সিদ্দিকা বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে খুলনায় নারী ও কিশোরীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, বিশেষ করে নিরাপদ পানি ও মাসিক স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে।”

কর্মশালায় দলভিত্তিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিরাক-বাংলাদেশের প্রোগ্রাম লিড শাহিনা ইয়াসমিন, ইনোভেশন অ্যান্ড ইয়ুথ স্পেশালিস্ট মোঃ নাজমুল হাসান, এবং উপস্থিত ছিলেন ফাইন্যান্স ও অ্যাডমিন কো-অর্ডিনেটর ওমর ফারুক খান, নেটওয়ার্ক অফিসার মোঃ কামরান মিয়া ও প্রজেক্ট অফিসার সুমাইয়া রহমান। তরুণ অংশগ্রহণকারীরা কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে মতামত প্রদান করেন, যার ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞরা প্রাসঙ্গিক নীতিগত সুপারিশ তুলে ধরেন। এই সুপারিশসমূহ ভবিষ্যতে জাতীয় নীতিনির্ধারণে গুরুত্ব সহকারে বিবেচিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.