দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি পুনর্বিবেচনার আশা মির্জা ফখরুলের

138

গণতন্ত্রের রূপান্তরের এই সংকটময় সময়ে সব পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী মতবিনিময় সভায় তিনি এই বক্তব্য দেন।

এই সময় তিনি জানান, আগামী ১৩ জুন (শুক্রবার), লন্ডন সময় সকাল ১১টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

মির্জা ফখরুল এই বৈঠককে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সম্ভাব্য একটি মোড় পরিবর্তনের সূচনা হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, “সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, এ আলোচনা রাজনীতিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এ বৈঠকের তাৎপর্য অনেক।”

জাতীয় নির্বাচন ঘিরে নানা জটিলতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে এই সাক্ষাৎকে একটি সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে বিবেচনা করছেন বিএনপি মহাসচিব। তার ভাষায়, “দেশে নতুন রাজনৈতিক চিন্তা ও দলগুলোর উত্থান ঘটছে। এই দ্বন্দ্ব ও জট খুলে সবাইকে নিরপেক্ষ প্ল্যাটফর্মে আনা এখন বড় চ্যালেঞ্জ।”

চলমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তারা এমন এক সময়ে দায়িত্ব নিয়েছেন, যখন রাজনৈতিক পরিবেশ অত্যন্ত জটিল। যদিও তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে দক্ষ ও অভিজ্ঞ, রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাব থাকলেও আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে বলে আমি মনে করি না।”

নির্বাচন কমিশনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে বিএনপির অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমরা এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাইনি। আশা করি সরকার বাস্তবতা বিবেচনায় সময় নিয়ে ভাববে।” তিনি আরও বলেন, “ঈদ পরবর্তী সময়ে নির্বাচন হলে প্রার্থীদের প্রচারণা ও গণসংযোগে জটিলতা তৈরি হতে পারে। প্রচণ্ড গরম ও ঝড়বৃষ্টির কারণে জনসম্পৃক্ততা কমে যেতে পারে।”

গণতান্ত্রিক পদ্ধতির প্রতি জনগণের আস্থার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “একটা বিষয়ে জাতি ঐক্যবদ্ধ—আমরা ভোটের মাধ্যমে সরকার নির্বাচন করতে চাই। এ নিয়ে বিভক্তি তৈরির চেষ্টা হলে তা দেশবিরোধী অপশক্তিকে সুযোগ করে দেবে।”

আওয়ামী লীগ শাসনামলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের মুখে পড়েছে। এখন এগুলো পুনর্গঠন কোনো সহজ কাজ নয়—এটি সময়সাপেক্ষ। তবে আমরা আশাবাদী। মতের ভিন্নতা থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসছেন।”

রাজনৈতিক অচলাবস্থার এই সময়ে তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের মধ্যকার আসন্ন বৈঠককে তিনি আশার নতুন আলো হিসেবে দেখছেন। বিএনপি মহাসচিব মনে করেন, “এই সংলাপ রাজনৈতিক সমঝোতার নতুন দুয়ার খুলে দিতে পারে।”

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.