খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার বলেছেন শিক্ষা, সামাজিক, অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারীরা এগিয়ে গেলেও বিশ্বে দক্ষিণ এশিয়ায় নারীরা এখনো পিছিয়ে আছে। বিশেষ করে আমাদের দেশের নারীরা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। কাজেই নারীদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সচেতন এবং জীবনমান উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থারও (এনজিও) ভূামকা রাখতে হবে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকালে খুলনা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে মানবসেবা ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা (মাসাস) আয়োজিত স্মল ডিস্ট্রিক্ট ইনডাকশন ওয়ার্কশপ উইথ স্টেকহোল্ডার্সের সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন- একটি মেয়ে ২০-২৫ বছর বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকার পর অন্যের সংসারে যায়। নতুন জায়গায় গিয়ে তাকে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়। ফলে অনেক সময় তাকে নতুন জায়গায় গিয়ে নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হতে হয়। এছাড়া বিভিন্ন কারণে হয়রানির শিকার হন নারীরা। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় অল্প বয়সে বৃদ্ধা হয়ে যান। কাজেই এসব প্রেক্ষাপট চিন্তা করে পারিবারিক সহিংসতা বন্ধে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদেরকে সচেতন করে তুলতে হবে। মেয়েদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের মনোবল বাড়াতে হবে।
মাসাসের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চুর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা প্রেসক্লাবের আহবায়ক এনামুল হক ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুরাইয়া সিদ্দিকা।
কর্মশালার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তৃতা করেন অপারাজেয় বাংলাদেশের মনিটরিং অফিসার সঞ্জিত কুমার দে।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাসাসের নির্বাহী পরিচালক শামীমা সুলতানা শীলু।
সভায় বলা হয়- মাসাস ১৯৯৮ সাল হতে দীর্ঘ ২৭ বৎসর যাবৎ শিশু, নারী ও যুবসহ সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠির উন্নয়ন, প্রান্তিক জনগোষ্টির সংবেদনশীল সচেতনতায় উঠান বৈঠকসহ সচেতনতামুলক প্রচারনা; শান্তি ও সহনশীলতায় জনসাধারণের ভূমিকা শীর্ষক প্রচারনার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ, সম্প্রীতিময় এবং সার্বজনীন সমাজ গঠনে জনগোষ্ঠির সক্ষমতা বৃদ্ধি; পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জনঅংশগ্রহনের মাধ্যমে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও সুশাসনসহ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বস্তরে কাজ করছে।
বিশেষ করে বিনামূল্যে আইনী সহায়তার জন্য সুবিধা বঞ্চিত নারীদের রেফারেলের মাধ্যমে সহায়তা করছে। বর্তমানে মাসাস পারায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে, যেখানে নারী, শিশু ও পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে। খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।