নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের বীড়গ্রামে শিশু কন্যা হৃত্তিকা বৈরাগীকে (৪) ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে চাচাতো ভাই হৃদয় বৈরাগী (২৩) কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হৃদয় বৈরাগী সদর উপজেলার বীড়গ্রামের দিলীপ বৈরাগীর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় হৃদয় বৈরাগী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে হৃত্তিকা বৈরাগী বাড়ির পাশে তার কাকা দিলীপ বৈরাগীর বাড়ীতে খেলতে যায়। কিন্তু রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। পরদিন দুপুরে বাড়ির পাশে একটি পুকুর পাড়ে হৃত্তিকার মরদেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। এ সময় বিভিন্ন সূত্রে হৃত্তিকার পরিবার জানতে পারে, তার চাচাতো ভাই হৃদয় বৈরাগী তাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে এবং রাতের অন্ধকারে পুকুরের পাড়ে ফেলে দেয়।
এই ঘটনায় শিশুর পিতা ৩০ ডিসেম্বর দশরথ বৈরাগী বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় হৃদয় বৈরাগীর নামে মামলা দায়ের করেন। বিচার প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে হৃদয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা আদেশ প্রদান করেন।
নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাড.এস এম আব্দুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।