দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে দেশের শ্রমজীবী মানুষ আজ দিশেহারা —–মাস্টার শফিকুল আলম

104

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা মাস্টার শফিকুল আলম বলেন, পবিত্র মাহে রমাদান আমাদের মাঝে সমাগত। আর মাত্র দিন পরেই সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মুসলমানরা আল্লাহ তায়ালার ফরজ ইবাদত পালন করবেন, ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘেœ সেহরি ও ইফতার করতে পারে, সে জন্য প্রয়োজনে সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দিয়ে হলেও রমাদানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে দেশের শ্রমজীবী মানুষ আজ দিশেহারা। তারা দুবেলা, দুমুঠো খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খাচ্ছে। এর মধ্যেই রমাদান সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য আবারও দফায় দফায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবিলম্বে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ধ্রব্যমূল্য শ্রমজীবী মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আনতে হবে। শুক্রবার দুপুর ১২ টায় খুলনা মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে মাহে রমাদানের পবিত্রতা রক্ষা ও দ্রব্যমুল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার দাবি এবং পবিত্র মাহে রমাদানকে স্বাগত জানিয়ে র‌্যালীর পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
খুলনার মহানগরীর সোনাডাঙ্গা আন্ত: কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল চত্ত্বরে মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, সোনাডাঙ্গা থানা আমীর জি এম শহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারি জাহিদুর রহমান নাইম, ১৮ নং ওয়ার্ড আমীর মো. মশিউর রহমান রমজান। এছাড়াও অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগরী সহ সভাপতি এস এম মাহফুজুর রহমান, কাজী মাহফুজুর রহমান ও সাখাওয়াত হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান ও বুলবুল কবীর, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আব্দুল ওয়াহেদ, দপ্তর সম্পাদক আল হাফিজ সোহাগ, তারবিয়াত সেক্রেটারি মাওলানা শরিফুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, পরিবহন শ্রমিক নেতা আব্দুল বারেক শেখ, মো. কামাল হোসেন, আসলাম শিকদার, নুরুল হক, কামরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল ওহিদ সরদার, মো. রনি শেখ, মুরাদ সোহাগ, আসাদুল্লাহ আল গালিব, নাসিরুদ্দিন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিশাল র‌্যালী নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিববাড়ি মোড় চত্ত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় সভাপতির বক্তৃতায় আজিজুল ইসলাম ফারাজী বলেন, মাহে রমাদানের পবিত্রতা রক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব। রমাদানে রোযাদারদের কষ্ট লাঘবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য কমিয়ে কালোবাজারি, মজুতদারি ও সিন্ডিকেটকে ভেঙে দিতে হবে। অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা বন্ধ করতে হবে।
র‌্যালী থেকে আহালান সাহালান মাহে রমাদান, দিনের বেলা হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখো, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার দাবিতে বিভিন্ন প্রকার স্লোগান দিতে দেখা গেছে। রমাদানকে স্বাগত র‌্যালীতে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ছাড়াও ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা অংশগ্রহণ করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.