দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সকলকে একদফায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে–অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

118

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা মহানগরীর প্রধান উপদেষ্টা ও খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, একজন শ্রমিক যখন দেখবে তার শ্রমের ন্যায্য মূল্যায়ন করা হয়েছে তখন শুধু দেহের শক্তি নয় মনের শক্তি যুক্ত হবে। এতে উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে যাবে। এতে কার্যত মালিকরা শ্রমিকদের থেকে বেশি লাভবান হবে। অন্যান্য ট্রেড ইউনিয়ন মালিক-শ্রমিকের সংঘাত লাগাতে চায়, আমরা এটা চাই না। মালিকরা উদ্যোক্তা না হলে শ্রমিকরা শ্রম খাটাবে কোথায়। আবার শ্রমিক না থাকলে কাকে দিয়ে উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে। আমরা মালিক-শ্রমিকের সুসম্পর্ক চাই। আমরা চাই মালিক-শ্রমিক কেউ কাউকে ঠকাবে না। এখান থেকে সবাই আমরা উপকৃত হবো। এই স্লোগান বাস্তবায়ন করতে চাই। তিনি বলেন, রোযা একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। হাদিসে কুদসীতে বলা হয়েছে, আল্লাহ বলেন, রোযা আমার জন্য, আর নিজ হাতে এর যথাযথ প্রতিদান দেবো। অন্যত্র বলা হয়েছে, আমি নিজেই রোযাদারের হয়ে যাবো। অপর হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতেসাবের সাথে রোযা রাখবে আল্লাহ তার আগের সব গোনাহ মাফ করে দেবেন। রমযান মাসের মর্যাদা সম্পর্কে কালামে হাকিমে বলা হয়েছে, রমযান মাস এমন এক মহিমান্বিত মাস যে মাসে মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল করা হয়েছে। যা মানবজাতির জন্য হেদায়াত ও সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী। মূলত, ইসলামই মানবজীবনের সকল সমস্যার সমাধান দিয়েছে। অন্য মতবাদে তা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। যা এখন দিবালোকের মত স্পষ্ট। মূলত, আল্লাহ তা’য়ালা দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন এবং নেয়ামত হিসাবে ইসলামকে আমাদের জন্য জীবন বিধান হিসাবে মনোনীত করেছেন। তাই জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামের যথাযথ অনুসরণ করতে হবে। তিনি দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সকলকে একদফায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) খুলনা মহানগরী খালিশপুর থানাধীন ৯ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক কল্যাণ ফোডারেশনের উদ্যোগে স্থাানীয় কার্যালয়ে সাধারণ শ্রমিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।৯ নং ওয়ার্ড সভাপতি নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাফেজ নাসরুল্লাহ এর পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, সহ-সভাপতি এস এম মাহফুজুর রহমান, খালিশপুর থানা সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, খালিশপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আব্দুল আউয়াল, ৯ নং ওয়ার্ডের আমীর কাজী বায়জিদ হোসেন, সেক্রেটারি মুহাইমিনুল ইসলাম, ছাত্রশিবির নেতা হাসান ইমতিয়াজ। এতে অন্যান্যের মধ্যে শ্রমিক নেতা আসাদুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, মতিয়ার রহমান, শহিদুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, আলাউদ্দিন, মেহদী হাসান, শামীম হোসেন, বেলাল হোসেন, মাসুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষকে শ্রমিকের অধিকার লঙ্ঘন না করতে এবং তাদের সাথে ইনসাফপূর্ণ আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাসুল (সা.) এর শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় সর্বোচ্চ সচেষ্ট ছিলেন। শ্রমিকদের কেন্দ্র করে অনেক শ্রমিক সংগঠন ও ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে উঠেছে। এই সংগঠনের নেতারা শ্রমিকদের কষ্ট ব্যথা বেদনার খবর জানেন। কিন্তু গতানুগতিক ধারার শ্রমিকনেতারা শ্রমিকদের দুর্দশা কীভাবে দূর করতে হবে সে সম্পর্কে ওয়াকিফহাল নন বরং শ্রমিকদের পুঁজি করে কীভাবে নিজেদের ভাগ্য বদলাতে হবে তা ভালো করে জানেন। ফলে শ্রমজীবী মানুষরা প্রতি যুগে এই সমস্ত ট্রেড ইউনিয়ন ও নেতৃত্বের কাছে বারবার প্রতারিত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। আল্লাহ মানবজাতিকে ন্যায় ও ইনসাফের বিধান দিয়েছেন তা যদি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রতিপালন করা হয় তাহলে শ্রমিকের দুঃখ ব্যাথা বেদনা দূর হবে। ইনসাফের মানদন্ডের ওপর যার যার প্রাপ্যতা নিশ্চিত হবে ইনশাআল্লাহ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.