দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান হাইকোর্ট থেকে খালাস পেয়েছেন। ‘জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের’ অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঢাকার নিম্ন আদালতের দেওয়া দণ্ড বাতিল করে বুধবার (২৮ মে) এই রায় দেন বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রায়ে বলা হয়, মামলায় আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। ফলে ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের সাজা বাতিলের পাশাপাশি দুই ধারায় মোট নয় বছরের সাজা থেকে তারেক রহমানও খালাস পেয়েছেন।
এর আগে গত ২৬ মে আপিলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ মে দিন নির্ধারণ করেছিলেন হাইকোর্ট। মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। অপরদিকে আপিলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, কায়সার কামাল ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল করিম।
এর আগেই, ১৪ মে হাইকোর্ট ডা. জুবাইদা রহমানের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। ওইদিন তার জরিমানাও স্থগিত করা হয় এবং আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিনে রাখার আদেশ দেন আদালত। এই আপিলটি ১৩ মে দায়ের করা হলে হাইকোর্ট তার ৫৮৭ দিনের দেরি মার্জনা করে গ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, ডা. জুবাইদা রহমান এবং তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। অভিযোগে বলা হয়, তারা জ্ঞাত আয়ের উৎস ব্যতিরেকে সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা গোপন করেছেন।
মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রায় দেন। এতে তারেক রহমানকে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় তিন বছর এবং ২৭(১) ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তাকে তিন কোটি টাকা জরিমানারও নির্দেশ দেন আদালত। অপরদিকে, জুবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন ডা. জুবাইদা রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছর পর, চলতি বছরের ৬ মে বিএনপি চেয়ারপারসন ও তার শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরে আসেন তিনি।
