দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

দীর্ঘ ১৫ বছর এদেশে আলেম ওলামাদের উপর চরম জুলুম নির্যাতন চালানো হয়েছে —অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

97

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, দ্বীন বিজয়ের জন্য ওলামায়ে কেরামদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া বিকল্প পথ নেই। তাদেরকে জাতির মিনার হিসেবে দাঁড়াতে হবে। আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য আল্লাহর নবী ও সাহাবায়ে কেরামদের পাগলপারা হয়ে কাজ করতে হবে। রাসুলের সাহাবীরা দ্বীন কায়েমের জন্য জান ও মালের ত্যাগ কুরবানিতে কোনো পরোয়া করেননি। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর এদেশে আলেম ওলামাদের উপর চরম জুলুম নির্যাতন চালানো হয়েছে। দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার কারণে অতীতে অনেক নবীদের বিনা অপরাধে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশেও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীসহ অসংখ্য আলেম ওলামাদের দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করার অপরাধে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে। দেশের শতকরা ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে আল্লাহর দ্বীন কায়েম হবেই হবে, ইনশাআল্লাহ। সোমবার (১৭ মার্চ) খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারে ওলামা সম্মেলন ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
দৌলতপুর থানা আমীর মুশাররফ আনসারীর সভাপতিত্বে ও থানা ওলামা সেক্রেটারি মাওলানা হাবিবুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, প্রিন্সিপাল মাওলানা নাসির উদ্দিন মো. হুমায়ুন, থানা সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দিন আলমগীর, মাওলানা এ এস এম জাফর সাদিক। এতে অন্যান্যের মধ্যে ইসমাঈল হোসেন পারভেজ, মাওলানা আব্দুল হক, মাওলানা মাহাদী হাসান আল হাদী, মাওলানা নূর সাঈদ জালালী, মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান, মুফতি মুজাহিদুল ইসলাম ফারাজী, মুফতি আব্দুল জব্বার, মুফতি জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, আলেম-ওলামার মাঝে কোনো ভেদাভেদ থাকা যাবে না। কওমি আলিয়ার মাঝে যে প্রাচীর রয়েছে তা উঠিয়ে দিতে হবে। ইমাম-খতীব, আলেম-ওলামা, কওমি-আলিয়া সবাই মিলে সর্বসাধারণের মাঝে দ্বীনের দাওয়াত, ঐক্যের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়োত্তর আমাদের এই প্রিয় দেশকে সকল ধরনের ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত করে দ্বীন কায়েমে সচেষ্ট হতে হবে। তিনি বলেন, এবার জামায়াতে ইসলামীকে বাংলার মানুষ দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে চায়। নেতৃত্বের জন্য ওলামায়ে কেরামদের প্রস্তুতি নিতে হবে। ইসলামের পূর্ণাঙ্গ দাওয়াত সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ছোটখাটো বিষয়ে বিতর্কে জড়িত হওয়া যাবে না। কওমী আলিয়ার মাঝখানের দেয়াল ভেঙে দিতে হবে। জামায়াতে ইসলামীকে দেশ গড়ার সুযোগ দেয়া হলে তারা সন্ত্রাস, দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করবে। অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে আলেম-ওলামারা জীবনবাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আলেম-ওলামারা মাঠে নেমেছিল। জালেম সরকার দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আলেম-ওলামারা কখনোই বাতিল শক্তির সাথে আপোশ করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না, ইনশাআল্লাহ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.