দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

দাকোপে তিলডাঙ্গায় হরিসভা মন্দিরে সামনে নদীভাঙ্গন।

আতংকে জনজীবন

28

শচীন্দ্র নাথ মন্ডল দাকোপ খুলনা প্রতিনিধি ঃ খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার ৭ নংতিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া বাজার সংলগ্ন হরিসভা মন্দিরের সামনে প্রায় ১০০ শো ফুট ভেড়ি বাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। জনমনে আতংক বিরাজ করছে। এ ভাঙ্গনে ধমীয়স্হাপনাসহ ফসলের ক্ষেত, ঘরবাড়ি, ক্ষেত-খামার তলিয়ে গেছে। ভাঙ্গনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের একজন দিলিপ ও তারাপদ বালা যিনি জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে চতুর্থবারের মতো ভিটেমাটি হারাতে বসেছেন।তাঁরা এ প্রতিবেদক কে বলেন আমারা এই বাড়িটা চারবার সরিয়েছি। একবার করে নদী ভাঙে আর আমার বাড়ির উপর দিয়ে রাস্তা হয়। তখন ঘর-বাড়ি ভেঙে সরতে থাকি। এবার আর কোনো জায়গা নেই। জমিও নেই। এবার যদি ভাঙে, ভেড়ির উপর ঘর তুলে থাকতে হবে,” – চোখের কোনায় জল নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন সত্তরোর্ধ্ব তারা পদ বলা।

অঞ্চলজুড়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।মঙ্গলবার সকাল থেকেই টানা বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় উপকূলীয় অঞ্চলের নদী তীরবর্তী এলাকায় রাত আনুমানিক ১২টার দিকে ভয়াবহ নদী ভাঙন বটবুনিয়া বাজার সংলগ্নে হরিসভা মন্দিরের পাশে ভাঙন হয়েছে। সাগরের উত্তাল ঢেউ এবং নদীর গতি বদলের ফলে বটবুনিয়াসহ আশপাশের এলাকায় ভাঙনের মাত্রা ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ভবেন মন্ডল অভিযোগ করেন, “কোনো উন্নয়ন হয়নি এলাকায়। স্থানীয় নেতারা শুধু আশ্বাস দেয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড মাঝে মাঝে ব্লক আর বালির বস্তা ফেলে দায়সারা কাজ করে, কিন্তু স্থায়ী কিছু করে না।”

সাবেক ইউপি সদস্য নীলকমল জানান, “এখানে একের পর এক ভেড়ি দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু কোনো স্থায়ী পরিকল্পনা নেই। বালুর বস্তা আর জিও ব্যাগ দিয়ে সাময়িক ঠেকানো যাচ্ছে, কিন্তু স্থায়ী বাঁধ না থাকলে প্রতিবারই একই দশা হবে।”

অভিযোগ উঠেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা প্রকল্পের বরাদ্দের অপব্যবহার করছেন। এদিকে পানি উন্নয়ন বোড সুত্রে জানাযায় , নদী ভাঙন রোধে ব্লক, বালুর বস্তা, জিও ব্যাগ ব্যবহার করে কাজ চালানো হচ্ছে।তবে বাস্তবতা হলো- জনগণের কষ্ট দিন দিন বেড়েই চলেছে। নদী গিলে নিচ্ছে তাদের বসতভিটা, কৃষিজমি, জীবনের সঞ্চয়। সরকারের স্থায়ী ও টেকসই উদ্যোগ না এলে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে- নয়তো এই অঞ্চল ধীরে ধীরে পরিণত হবে “উচ্ছেদ হওয়া মানুষদের” ভূখণ্ডে। এব্যাপারে তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাজী জালাল উদ্দীন বলে রাতে প্রবল জোয়ারের পানিতে বটবুনিয়া বাজার সংলগ্ন হরিসভা মন্দিরের পাশে প্রায় এক শত ফুট ভেড়ি বাঁধ ভেঙে নদী ভাংগনে বিলিন হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোড বালির বস্তা ফেলা শুরু করেছে। জুয়ার শেষে হলে ভাটার সময় ভেড়ি বাঁধ বাধা যাবে বলে তিনি জানান

Leave A Reply

Your email address will not be published.