দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

ডিসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ২৫তম বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা নুরুল করিম একটি পরিবারকে সর্বশান্ত করার অভিযোগ

27

অন্তবর্তী সরকার আমলে ডিসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ২৫তম বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা নুরুল করিম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে একটি পরিবারকে সর্বশান্ত করার অভিযোগ উঠেছে।নগরীর খালিশপুরের বাসিন্দা জান্নাত ই খাতুন মিতু নামের এক গৃহবধু রোববার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে গুরুতর কিছু অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে নগরীর ৪৮/১, মিউনিসিপ্যাল ট্রাঙ্ক রোডের বাসিন্দা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আলম মামুনের সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের তিন সন্তান- তাওসিফ আল মামুন (১৪), তাহমিম আল মামুন (৮) ও সাফি সুবাইয়া নুর (৫)। বিয়ের পর টের পান স্বামীর চারিত্রিক ত্রæটি রয়েছে। তবে সংসারের স্বার্থে তিনি মেনে নিয়ে স্বামীকে সংশ্ধোনের চেষ্টা করেন। ২০১০ সালে তার একমাত্র ননদ মিনারা নাজমীন বিয়ে করেন নুরুল করিম ভূঁইয়াকে। দুজনেই২৫ তম বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা এবং এটি ছিল নুরুল করিমের তৃতীয় বিয়েওমিনারা নাজমীনের দ্বিতীয় বিয়ে। এরপর থেকে তার শ^শুরালয়ের পরি¯ি’তির মারাত্মক অবনতি ঘটে। স্বামী অহরহ আমাকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন। ভয়াবহ অত্যাচারে একবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ৮দিন চিকিৎসাধীন থাকতে হয়।

২০২১ সালে নুরুল করিম ভূঁইয়ার খালাতো বোন মাহমুদা রহমান তানিয়াকে তার স্বামী বিয়ে করেন। এই বিয়ের পর তাকে স্বামী বাড়ি ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যেতে হয়। কিন্ত তার সন্তানরা বিশেষত বড় ছেলে তাওসিফ মানসকিভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে এবং নানা বাড়ি ছেড়ে নিজের বাড়িতে যেতে চাইতো। গত বছরের নভেম্বরে সন্তানরা জানতে পারে তাদের বাবা দেশে ফিরেছে।১২ তারিখ বিকেলে তিন ভাই বোনট্রাঙ্ক রোডের বাসায়গেলেতাদের বাবা, তার সৎ স্ত্রী ও বাসার কর্মচারীরা গালিগালাজ ও মারপিট করে বের করে দেয়। ১৬ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে দুই ছেলে আবারও বাবার বাড়িতে গেলে ঢুকতে দেয়া হয়নি।

সেখান থেকে ফেরার পথে অজ্ঞাত পরিচয় দুই ব্যক্তি তাদেরকে কোমলপানীয় পান করিয়ে মাইক্রোবাস যোগে কিডন্যাপ করে। তিনদিন পরে দুই ভাই ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় একাধিকবার খুলনা সদর থানায় মামলা ও জিডি করার জন্য গেলেও থানা পুলিশ তাদেরকে কোন সহায়তা না করে উল্টো তাকে জেল ঢুকিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। পরে আদালতে অপহরণ মামলা করা হলে রোজার শেষ দিকে গোয়ালখালি এলাকায় বড় ছেলের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়।

জান্নাত ই খাতুন মিতু অভিযোগ করেন, থানা ও আদালত সব জায়গায় প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়েছেন তার ননদের স্বামী নুরুল করিম ভূঁইয়া। তিনি নিজেকে খুব প্রভাবশালী ঊর্ধ্বতন প্রশাসিক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করেন। তিনি বিএনপির শীর্ষ নেতাদের খুব কাছের মানুষ এই পরিচয় দিয়েও প্রশাসনকে তট¯’ রাখেন। সবশেষ তার সন্তানদের পৈত্রিক বাড়ি ট্রাঙ্ক রোডের ৫তলা ভবনটি ১১ কোটি টাকায় বিক্রির অনলাইন বিজ্ঞাপন দিয়েছে। এটি বিক্রি করতে পারলে নাবালক তিন সন্তানকে বঞ্চিত করে তারা বিদেশে পাড়ি জমাবে বলে তিনি আশংকা করেন। মিতুর অভিযোগ, স্বামী তালাকের কথা বললেও কোন ডকুমেন্ট আদালতে উপ¯’াপন করেনি।

তার নাবালক তিন সন্তানের কোন খোরপোসও দেননা। এছাড়া নুরুল করিম ভূঁইয়া ও মিনারা নাজমীন চাকরি জীবনে অবৈধ পš’ায় কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন যা তার স্বামীর মাধ্যমে আমেরিকায় পাচার করে সম্পদ গড়েছেন। নুরুল করিম বর্তমানে স্ট্যান্ড রিলিজ এবং মিনারা নাজমীন ওএসডি হয়ে আছেন বলে জানান তিনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.