যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অঞ্জন রায় হঠাৎই জানতে পারেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে দেশটিতে থাকার বৈধতা হারিয়েছেন তিনি। ভিসা বাতিলের ইমেইল পেয়ে দিশেহারা হলেও হাল ছাড়েননি, শুরু করেন আইনি লড়াই।
২৩ বছর বয়সী অঞ্জন ২০২৪ সালের আগস্টে মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশোনা শুরু করেন। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে মাস্টার্সে ভর্তি হলেও চলতি বছরের ১০ এপ্রিল এক ইমেইলে জানানো হয়, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি হারিয়েছেন।
মিসৌরি স্টেট ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী দপ্তরও তার ভিসা বাতিলের সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেনি। একই সময়ে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ইমেইল পান অঞ্জন, যেখানে জানানো হয়—তাকে যেকোনো সময় আটক বা তৃতীয় দেশে পাঠানো হতে পারে।
আইনি পরামর্শ নিয়ে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন। আটলান্টায় দায়ের করা মামলায় তিনি ১৩৩ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের অধিকার ফিরে পান।
এ ধরনের রায় এসেছে আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে। তবে কিছু আদালত শিক্ষার্থীদের ক্ষতির যুক্তি মানতে নারাজ।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, যারা দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত—বিশেষ করে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা হবে।
তবে অনেক শিক্ষার্থী বলছেন, তারা শুধু শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন। আইনজীবীরা বলছেন, সরকারের এসব পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ ও ভয়ভীতি ছড়ানোর শামিল।
মার্চ থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১,১০০ শিক্ষার্থী ভিসা ও বৈধতা হারিয়েছেন বলে জানায় এপি। অনেকেই এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।