আজ ১ জুলাই, বাংলাদেশের ইতিহাস গড়া ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর এক বছর পূর্ণ হলো। ২০২৪ সালের এই দিনে সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিল দেশের
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিতে ছিল—কেবল মেধাভিত্তিক নিয়োগ ও ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহাল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। “কোটা না মেধা, মেধা মেধা”—এ স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ক্যাম্পাসগুলো। শিক্ষার্থীরা তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে তুলে ধরেন চার দফা দাবি।
বিশেষ করে ১ জুলাই বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অনুষ্ঠিত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ৪ জুলাইয়ের মধ্যে কোটা-বিরোধী রায় বাতিল না হলে লাগাতার কর্মসূচিতে যাবে তারা। এর অংশ হিসেবে ২ জুলাই গণপদযাত্রা এবং দেশের সব ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দেওয়া হয়।
এই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও জাবির ছাত্রনেতা আরিফ সোহেল হুঁশিয়ারি দেন—আন্দোলনের দাবি পূরণ না হলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। রাজশাহী ও চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীরা বলেন, “১৯৭১ সালের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে যেমন ছিল বৈষম্যবিরোধী লড়াই, তেমনি কোটা সংস্কারেও আমরা সেই চেতনার ধারক।”
এক বছর পর দিনটি স্মরণে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনগুলো। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আজ থেকে শুরু করেছে ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি। শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করে রংপুর ও গাইবান্ধায় পথসভা করছে তারা। বিকালে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নেবেন অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারসহ সব রাজনৈতিক দল।