দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

জিয়া খানের মৃত্যু ও সালমান প্রসঙ্গে যা বললেন সুরজ পাঞ্চোলি

11

২০১৩ সালের ঘটনা। বলিউডের উঠতি নায়িকা জিয়া খান। অল্প সময়েই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে যান এ অভিনেত্রী। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে ২০১৩ সালে আত্মহত্যা করেন জিয়া খান।
তার এই মৃত্যুতে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল জিয়ার তৎকালীন প্রেমিক সূরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে। তবে ২০২৩ সালে এই মামলা থেকে মুক্তি পান সূরজ।

সম্প্রতি বলিউড বাবল-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দীর্ঘ মিডিয়া ট্রায়ালে তাঁর ক্যারিয়ার কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল, সেই সময়ে সালমান খান কীভাবে তাঁর পাশে ছিলেন সে বিষয়ে কথা বলেছেন সুরজ পাঞ্চোলি।আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ থাকলেও, বলিউডে ঘটা করেই পা রাখেন আদিত্য পাঞ্চোলিরে ছেলে সুরজ পাঞ্চোলি।সালমান খানের প্রযোজনায় ‘হিরো’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে সফর শুরু হয়েছিল তার। বিপরীতে ছিলেন আথিয়া শেঠি।

সুরজের বাবা আদিত্য ও সালমান বেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাই সুরজের ক্যারিয়ার গড়তে শুরুতেই সাহায্যের হাত বাড়ান সালমান।সেই সঙ্গে জিয়া খানের সেই আত্মহত্যার মামলায় সুরজের প্রতি আস্থা রাখেন। সালমানের নজরে সুরজ ছিলেন নির্দোষ।সুরজ বলেন, “সালমান স্যার আমাকে একটাই প্রশ্ন করেছিলেন, ‘সুরজ তুমি কি সত্যিই খারাপ কিছু করেছ?’ এই প্রশ্ন আমাকে আমার বাবাও করেছিলেন। আমি উত্তরে বলি, আমি এমন কিছু করিনি। তার পরে আর সালমান স্যার আর আমাকে দ্বিতীয় প্রশ্ন করেননি।

আমার উপর ভরসা রেখেই আমার প্রথম কাজের সুযোগ তিনি দিয়েছিলেন।”
সালমান নিজেও জানেন, অভিযুক্ত দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগেই তাকে কোন কোন ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। তাই নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বিচার করেই ভরসা রেখেছিলেন সুরজের উপর। এমনই জানিয়েছেন অভিনেতা। তিনি আরও বলেন, “আমি আসলে নিজের হয়ে কথা বলিনি। এটা আমার ভুল ছিল। অনেকেই আমাকে চুপ থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু আজ আমার মনে হয়, তখন কথা বললে মানুষ আমার দিকের গল্পটাও জানতে পারত। আজও কিন্তু সেগুলো আমি বলিনি। আর কোনও দিন বলবও না।”

২০১৩ সালের ৩ জুন জুহুর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয় জিয়া খানের মৃতদেহ। পরবর্তীতে জানা যায়, অভিনেত্রী সুরজের সন্তানের মা হতে চলেছিলেন। পুলিশ এটিকে আত্মহত্যা বললেও জিয়া খানের মা বলেছিলেন, খুনের ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে। সে বছরেই প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলিকে দায়ী করে জিয়ার লেখা সুইসাইড নোট খুঁজে পান তার বোন। পরে সেটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন জিয়ার মা রাবেয়া আমিন।

এর দুদিন পর জিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় সুরজকে গ্রেপ্তার করে মুম্বই পুলিশ। কিছুদিন জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান বলিউডের প্রভাবশালী অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে। । জিয়ার মৃত্যুর প্রায় এক বছর পর ২০১৪ সালে মুম্বই পুলিশের হাত থেকে সিবিআইয়ের হাতে যায় এই মামলা। বছর দুয়েক পর অর্থাৎ ২০১৬ সালে সিবিআই জানায় আত্মহত্যাই করেছেন জিয়া। ২০২৩ সালে এই মামলা থেকে মুক্তি পান সূরজ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.