দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

জিম্বাবুয়েকে ৫৪ রানে গুটিয়ে আফগানিস্তানের রেকর্ড

54

সেদিকুল্লাহ আতালের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও আব্দুল মালিকের ফিফটিকে বড় পুঁজি পেল দল। পরে বল হাতে একসাথে সবাই। জিম্বাবুয়েকে স্রেফ ৫৪ রানে গুটিয়ে রেকর্ড গড়া জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল আফগানিস্তান।

হারারেতে বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের ২৩২ রানে হারিয়েছে আফগানরা। ওয়ানডেতে রানের ব্যবধানে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় জয়।

নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে দুইশ রানের ব্যবধানেই আফগানিস্তান জিতল এই প্রথম। আগের রেকর্ড ছিল গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৭৭ রানের জয়।

ক্যারিয়ারের চতুর্থ ওয়ানডেতে খেলতে নেমে প্রথম সেঞ্চুরি করা সেদিকউল্লাহ ৪ ছক্কা ও ৮ চারে ১২৮ বলে খেলেন ১০৪ রানের ইনিংস। ১ ছক্কা ও ১১ চারে ১০১ বলে ৮৪ রান করে থামেন মালিক। তাদের দুইজনের ১৯১ রানের উদ্বোধনী জুটির সুবাদে ২৮৬ রানের পুঁজি গড়ে আফগানিস্তান।

রান তাড়ায় শূন্য রানে উইকেট পতনের শুরু জিম্বাবুয়ের। এরপর একে একে সবাই এসেছেন আর গেছেন। আফগানিস্তানের চার বোলার ভাগ করে নেন সব উইকেট।

তিনটি করে উইকেট নেন আল্লাহ্ মোহাম্মেদ গাজানফার ও নাভিদ জাদরান। দুটি শিকার ধরেন ফাজালহাক ফারুকি, একটি আজমাতউল্লাহ ওমারজাইয়ের।

দলের তারকা লেগ স্পিনার রাশিদ খান ও অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নাবির এদিন বোলিংই করতে হয়নি।

জিম্বাবুয়ের দুজন ব্যাটার যেতে পারেন দুই অঙ্কে। ৩২ বলে সর্বোচ্চ ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন সিকন্দার রাজা, ১৮ বলে ১৬ রান করেন সেন উইলিয়ামস।

১১ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো দলটি পঞ্চম উইকেট হারায় ৩২ রানে। এক প্রান্ত আগলে এরপর সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখেন রাজা।

এর আগে টসে জিতে বল বেছে নিয়েও শুরুটা ভালো করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ওপেনিং জুটিতেই ২১০ বলে ১৯১ রান তোলেন মালিক ও সেদিকুল্লাহ। হাতে উইকেট নিয়েও পরে প্রত্যাশামত রান তুলতে পারেনি আফগানিস্তান।

পঞ্চম উইকেটে নবি-শাহিদি জুটি যোগ করেন ৩৭ বলে ৪৭ রান। নবি ১৮ বলে ১৮ রান করেন। ৩০ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন শাহিদি।

আফগান ইনিংসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে অতিরিক্ত থেকে।

৫৩ রানে ৩উইকেট নেন নিউমান নিয়ামুরি। ৭০ রানে ২টি নেন ট্রেভর গুয়ান্দু।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। একই মাঠে শেষ ম্যাচ শনিবার।

Leave A Reply

Your email address will not be published.