জামায়াত মনোনীত প্রার্থীকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীককে জয়যুক্ত করার জন্য সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে—- মহানগরী সেক্রেটারি
২৩ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর ঈদ পুনর্মিলনী
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন।
বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে যে ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে, ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে মাত্র ৩৬ দিনের রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে সেই ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করা হয়েছে। তবে দেশের অলিতে-গলিতে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা রয়ে গেছেন। তাদেরকেও বিতাড়িত করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তাহলেই একটি সুখি-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ। ইসলামি আইন কায়েম ছাড়া এই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য, বালু খোঁড়, গাছ খোঁড় সব বন্ধ হবে যদি জালিম ও জুলুম বাজদের হাত দেশকে রক্ষা করা যায়। তাই আগামী দিনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থীকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীককে জয়যুক্ত করার জন্য সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়। জামায়াতে ইসলামীর কাজকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আদর্শিক নেতৃত্বের বিকল্প নেই। তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠন শক্তিশালী করতে হলে নেতৃবৃন্দকে পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে হবে।
শনিবার (২৮ হুন) বিকেলে খুলনা মহানগরীর সদর থানাধীন ২৩ নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
২৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা সাব্বির তরফদারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগরীর প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা শেখ মো. অলিউল্লাহ, খুলনা সদর থানা আমীর এস এম হাফিজুর রহমান ও সেক্রেটারি আব্দুস সালাম। অন্যান্যের মধ্যে সদর থানার সহকারী বায়তুমাল সেক্রেটারি মাওলানা নাসির উদ্দিন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মো. সাইফুল্লাহ মনসুর, ২৩ নং ওয়ার্ডের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম, যুব বিভাগের সভাপতি মো. শহীদুল ইসলাম, ২৩ নং ওয়ার্ডের সহকারী বায়তুল সেক্রেটারি এম এম জামিরুল ইসলাম, ডাকবাংলো ইউনিটের সভাপতি কাজী মো. ইউনুস, ওলামা বিভাগীয় সেক্রেটারি মাওলানা হাবিবুল্লাহ বেলালী, রয়েলমোড় ইউনিটের সভাপতি আব্দুল হাকিম, আহসান আহমেদ রোড ইউনিটের সভাপতি মো. লাভলু সরদার, ফুল মার্কেট ইউনিটের সভাপতি মইনুদ্দিন, শামসুর রহমান রোড ইউনিটের সভাপতি সাহাল বিন মতিন, পিটিআই ইউনিটের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মামুন, আবু সাঈদ, জামিরুল ইসলাম, মাসুদ, সোহেল, হাফিজুর, মাসুম, আব্দুর রাজ্জাক, রবিউল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, নাসিম মোল্লা প্রুখ নেতৃবৃন্দ।
সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে শুরুতে জুলাই বিপ্লবে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। এ সময় তিনি আন্দোলনে আহতদের রোগমুক্তি কামনা করে বলেন, আজ পুরো জাতি যখন স্বপরিবারে ঈদ আনন্দ উপভোগ করছে ঠিক তখন জুলাই বিপ্লবে আহতরা পরিবার ছেড়ে অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যারা শহীদ হয়েছেন আজ প্রথম তাদের ছাড়া কুরবানির ঈদ পালন করছে তাদের পরিবার। এটা যে কতটা কষ্টদায়ক একমাত্র ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা বলতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে আমাদের লালন করতে হবে। এখন সময় এসেছে দেশের মানুষকে তাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার। জুলাই বিপ্লবের বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি এদেশের মানুষ আর মেনে নিবে না। তিনি বলেন, বিগত সময়ের কর্মকান্ডে পিছিয়ে পড়া দেশ ও জাতিকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। সে জন্য নতুন দিগন্তের সূচনার জন্য আগামীতে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমতায় আনতে সমগ্র দেশের ন্যায় খুলনা সদর থানার সকল কর্মীদের নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান তিনি।