কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি: বন বিভাগের তৎপরতায় খুলনা রেঞ্জের অধিনস্থ কাশিয়াবাদ স্টেশন বন রক্ষীরা এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪৮ কেজি হরিণের মাংসসহ এক শিকারীকে আটক করেছে। তবে এ সময় বনকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে অপর এক শিকারী নৌকা থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত আনুমানিক ১১টার দিকে এই অভিযানটি পরিচালিত হয়। কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে বনকর্মীদের একটি দল কয়রা উপজেলার ৪নং কয়রা গ্রামের শাকবাড়িয়া নদী সংলগ্ন এলাকায় অতর্কিত অভিযান চালায়।
আটককৃত শিকারী হলেন কয়রা উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের হামিদ গাজীর পুত্র দিদারুল ইসলাম (৩৫)। তাঁর সাথে থাকা সহযোগী, ১নং কয়রা গ্রামের মনিরুল ইসলাম, অভিযানের বিষয়টি আঁচ করতে পেরেই নৌকা থেকে লাফ দিয়ে গভীর রাতে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে বনকর্মীরা শুধু হরিণের মাংসই নয়, হরিণ শিকারের কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম এবং ২টি নৌকাও জব্দ করে। এছাড়াও অবৈধভাবে সংগ্রহ করা ১১৫ কেজি মাছও উদ্ধার করা হয়।
সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোঃ শামীম রেজা মিঠু জানান, এই অবৈধ শিকার ও পাচারের ঘটনায় আটককৃত এবং পলাতক—এই দুজনের নাম উল্লেখ করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত হরিণের মাংস এবং মাছ যেহেতু পচনশীল, তাই আদালতের বিশেষ অনুমতিক্রমে তা মাটিতে পুঁতে বিনষ্ট করা হয়েছে। আটককৃত শিকারী দিদারুল ইসলামকে কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বন বিভাগের এই সফল অভিযান সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় তাদের কঠোর ও নিরলস প্রচেষ্টারই প্রমাণ বহন করে।