চিরদিনের জন্য ফ্যাসিবাদ বিলোপ হোক সেই লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে —এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল বলেছেন, মাহে রমদান কুরআন নাজিলের মাস। মানব জাতির হিদায়াতের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এই মাসে কুরআন নাজিল করা হয়। কুরআনকে পড়ে-বুঝে কুরআনের আলোকে যেন মানুষ দুনিয়াবী জিন্দেগী পরিচালনা করতে পারে সেই উদ্দেশ্যে মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাজিল করেছেন। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করা। এতেই মানবতার মুক্তি ও কল্যাণ। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নতুন বাংলাদেশে এবারের রমাদান ভিন্ন এক পরিবেশে অতিবাহিত হচ্ছে। দীর্ঘ ১৫ বছর দেশের মুক্তিকামী মানুষ ও ইসলাম প্রিয় জনতা ভয়-ভীতি ও আতঙ্কের মধ্যে রমাদান অতিবাহিত করেছিল। নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য যে সকল তরুণ ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ জীবন দিয়ে ফ্যাসিবাদকে রুখে দিয়েছে আমরা তাদের জন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রতিদান কামনা করছি। বাংলাদেশ থেকে চিরদিনের জন্য ফ্যাসিবাদ বিলোপ হোক সেই লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। বুধবার (১২ মার্চ) খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর ২৩ নং ওয়ার্ডেও ডাকবাংলো ও ফুলমার্কেট ইউনিটের উদ্যোগে বেণীবাবু রোডস্থ বি.কে স্কুল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
ফুলমার্কেট ইউনিট সভাপতি এম এম জামিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ডাকবাংলো ইউনিটের সভাপতি কাজী মো. ইউনুছের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, খুলনা সদর থানা আমীর এস এম হাফিজুর রহমান, মহানগরী টিম সদস্য মাওলানা আশরাফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান টিংকু, সহকারী সেক্রেটারি ও ২৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. হুমায়ুন কবীর, ওলামা ও তারবিয়াত সেক্রেটারি ডা. হাফেজ মাওলানা সাইফুল্লাহ মানসুর, ২৩ নং ওয়ার্ড সেক্রেটারি মাওলানা সাব্বির তারফদার, কামাল হোসেন, মঈন উদ্দিন, হাফেজ শামীম, জুয়েল, জাকিরুল ইসলাম প্রমুখ। পরে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করা হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে মাহে রমদানের শিক্ষাকে কাজে লাগাতে হবে। পবিত্র রমাদান আমাদেরকে তাকওয়া অর্জনের শিক্ষা দেয়। এর আলোকে নিজেদেরকে পরিবর্তনের মাধ্যমে বৈষম্যহীন সুখী সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।