মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চাঁদা দাবি, হত্যার হুমকী ও কয়েকশত লোকের খাবার নষ্ট করার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রভাষক ফকির রাসেল আল ইসলামসহ বারইখালী ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ১৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। উত্তর সুতালড়ী গ্রামের উত্তর সুতালড়ী গ্রামের যুবলীগ নেতা সাবে মেম্বার রানা হাওলাদারের মা গুলজান বিবি গত ৩ জুন মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় এজাহার নামীয় অপর আসামিরা হচ্ছেন বারইখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার, ৫ নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি মহিউদ্দিন জিলহান, বদিউজ্জামান রাজীব কাজী, ইউনিয়ন বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইফুজ্জামান ওরফে রাসেল কাজী, বারইখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম বেপারী, আবু বকর হাওলাদার, বিল্লাল হোসেন খান, ছাত্রদল নেতা রাহাত রোমিও, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক নান্টু হাওলাদার, যুবদল নেতা নাইম হাওলাদার ও ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি মো. মাসুম বিল্লাহ।
মামলায় বলা হয়েছে, গত ১৬ মে রানা মেম্বারের ভাই গ্রীস প্রবাসি জাহিদুল ইসলাম সুতালড়ী গ্রামের তাদের তার মা-বাবার নামে দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওই দোয়া অনুষ্ঠনে পূর্বে জাহিদুল ইসলামের নিকট ওই বাড়ির উঠানে বসে ২০ লাখ টাকা চাদা দাবি করে এজাহার নামীয় আসামিরা। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় নিমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য রান্না করা খাবার আসামিরা মাটিতে ফেলে নষ্ট করে দেয়।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা ও এই মামলর আসামি ফকির রাসেল আল ইসলাম বলেন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই মামলাটি সাজানো হয়েছে। খাবার ফেলে দেওয়ার ঘটনা আমরা শুনেছি। ওটা সাজানো ঘটনা। ওখানে বিএনপির কোন নেতাকর্মী ছিলোনা। প্রশ্ন তুলে ফকির রাসেল আরও বলেন, ওইদিন বা ঘটনার সময় গ্রীস প্রবাসি জাহিদুল ইসলাম মোরেলগঞ্জেই উপস্থিত ছিলেন না। তাহলে জাহিদের নিকট তাদের উঠানে দাড়িয়ে কে কিভাবে চাঁদা দাবি করলো?
এ বিষয়ে মামলাটির তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই ভবতোষ রায় বলেন, মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম কেবল শুরু হয়েছে। এখনই কে দোষী বা নির্দোষ তা বলঅ যাচ্ছেনা। তবে, তদন্তে যাদেরকে দোসী পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।