বাইডেন প্রশাসনের সাবেক মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার গাজা যুদ্ধ নিয়ে মুখ খুললেন। স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, “আমি গণহত্যা বলছি না, তবে গাজায় ইসরায়েল নিশ্চিতভাবেই যুদ্ধাপরাধ করেছে।”
মার্কিন সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিলার বলেন, ইসরায়েলি সেনারা যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যুদ্ধাপরাধ করেছে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে সেটি ইসরায়েল সরকারের আনুষ্ঠানিক নীতির অংশ ছিল কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
মিলার আরও বলেন, “যদি কোনো রাষ্ট্র এমন নীতি নেয় বা এমন বেপরোয়া আচরণ করে, যা যুদ্ধাপরাধে সহায়তা করে, তাহলে তাকে দায় এড়াতে দেওয়া যায় না।” তিনি সরাসরি বলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে।
সাক্ষাৎকারে মিলার জানালেন, যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই বাইডেন প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে মতবিরোধ ছিল। কেউ কেউ ইসরায়েলের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন দিতে চাননি। “আমরা এমন সময়ও দেখেছি, যখন ইসরায়েলকে ২০০০ পাউন্ড ওজনের বোমা পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল,” বলেন তিনি।
তাঁর ভাষায়, বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের মধ্যেও এ নিয়ে মতপার্থক্য ছিল। যদিও ব্লিংকেন নিজে এখনো এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।
মিলার বলেন, ইসরায়েলের প্রতি কঠোর অবস্থান, ক্যাম্পাস বিক্ষোভ এবং ইউরোপের কিছু দেশের ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্যোগ—এসব মিলে হামাসের মধ্যে এমন বিশ্বাস জন্মায় যে, যুদ্ধবিরতিতে যেতে হবে না। তাদের মনে হয়েছিল, সময়ই তাদের পক্ষে কাজ করছে।
“মে থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি মারা গেলেন, যারা এই যুদ্ধে জড়িতই ছিলেন না। মাঝে মাঝে ভাবি, আমরা কি আরও কিছু করতে পারতাম? হয়তো পারতাম,” বলেন মিলার।
চমকপ্রদভাবে, মিলার ট্রাম্পের প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফকে ‘দক্ষ ও কার্যকর’ বলে প্রশংসা করেন। বলেন, “যখন কেউ উইটকফের সঙ্গে আলোচনা করেন, তিনি জানেন—এই ব্যক্তি মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি। এটিই তাঁকে শক্তি দেয়।”