জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের সহায়তায় মোট ৬৮.১৬ কোটি টাকা ৪০৭৪ টি পরিবারকে বিতরণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ৩৪.৩০ কোটি টাকা ৬৮৬ টি শহীদ পরিবারের মাঝে এবং ৩৩.৮৬ কোটি টাকা ৩৩৮৮ জন আহত ব্যক্তির মাঝে প্রদান করা হয়েছে। সেখানে খুলনার তেরখাদা উপজেলার লস্করপুর গ্রামের খোরশেদ ফকিরের পুত্র মোঃ মিনারুল ইসলাম প্রতারনার মাধ্যমে তার নাম আহতদের তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করে।
প্রকৃত পক্ষে মোঃ মিনারুল ইসলাম তেরখাদা উপজেলার ৬ নং মধুপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারন সম্পাদক । সে ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় একাধিক বার ছাত্র-জনতার উপর হামলায় প্রকাশ্যে অংশ নেয় ।
সে ৪ঠা আগষ্ট খুলনায় আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে ছাত্র-জনতার সাথে সংঘর্ষের সময় আওয়ামীলীগ অফিসের মধ্যে অবস্থান নেয় এবং ছাত্র-জনতার হামলায় অংশ নেয় ।
৫ তারিখ পরবর্তী সময় সে আত্নগোপনে থাকে । সে গত ১৪ মে তারিখ খুলনা জেলা প্রসাশকের নিকট হতে জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের জন্য গঠিত ফান্ডের ১০০,০০০/= (এক লক্ষ) টাকার চেক গ্রহনের মাধ্যমে আলোচনায় আসে । বিষয় টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে ।
এ বিষয়ে তেরখাদা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মোঃ কাদেরে, মোঃ শাহ আলম রিপন ও হেদায়েত ইসলোমের নিকট জানতে চাহিলে তারা বলে, মিনারুল যুবলীগের নেতা, সে আমাদের উপর একাধিক বার হামলা চালিয়েছিল, সে কি করে জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের জন্য গঠিত ফাউন্ডেশন হতে অর্থ্ সাহায্য পায়, তা আমাদের বোধগম্য নয় । তাকে অতিদ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে হবে ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এ তালিকার বিষয় আমি অবগত নই । অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), খুলনা আনিসুসজামান বলেন, এটি একটি বড় ধরনের প্রতারনা প্রসাশনিক নির্দেশনা পেলে অব্যশই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাতে গিয়ে আহত তেরখাদার যুবলীগ নেতা জুলাই যোদ্ধা হিসেবে অনুদান পেয়েছেন। গত ১৪ মে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আহত জুলাই যোদ্ধা হিসেবে ‘সি ক্যাটাগরিতে’ এক লাখ টাকার চেক গ্রহণ করে ওই যুবলীগ নেতা মিনারুল ইসলাম। এঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমারকে আহবায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিগগরিই অনুদান ফেরত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।