যশোরের কেশবপুর বৈদ্যুতিক মোটর ও তার চুরির সময় জনতা হাতে নাতে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিলো মোহাম্মদ আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেনকে।
কেশবপুর উপজেলা মজিদপুর ইউনিয়নের পাত্রপাড়া গ্রামের কমান্ডার মোহাম্মদ আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেনকে পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমা মটর, বিদ্যুতের মিটার ও তার চুরির অপরাধে ( ৩ মে) শনিবার সকালে স্থানীয় জনতা তাকে ধরে বিদ্যুতের পিলারের সাথে বেঁধে রাখে পরবর্তীতে থানা পুলিশ কে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনা স্থলে আসলে স্থানীয় জনগণ তাকে পুলিশের হাতে সপর্দ করে। সরজমিনে যেয়ে জানা যায় মোহাম্মদ আলীর ছেলে দীর্ঘদিন ধরে কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বৈদ্যুতিক তার, মিটার, মটর চুরি করে তার ঘেরের ঘরে সেরে রাখে।
তার গতিবিধি লক্ষ্য করে স্থানীয় মানুষের সন্দেহ হলে গোপনে তারা তদন্ত করতে থাকে একপর্যায়ে শনিবার ভোর বেলায় আনুমানিক ভোর ৫/৬ টার দিকে স্থানীয় জনতা বিল্লাল হোসেনকে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সহ হাতে নাতে ধরে ফেলে। ভুক্তভোগী আব্দুল আহাদ গ্রাম পাত্রপাড়া তিনি জানান তার চুরি যাওয়া তার ও মিটার বিল্লালের কাছে পাওয়া যায়।
মহব্বত আলীর বিদ্যুতের লাইনের সার্ভিস তার, অসিম নন্দীর ৫ মটর, মালেক শেখের ১ মটর ও দুই বস্তা ফিতা পাইপ বিল্লালের কাছ থেকে পাওয়া যায়। এলাকা বাসি জানায় পাত্রপাড়া, শিকারপুর, প্রতাপপুর, বারুইহাটি, সহ আশে পাশে গ্রাম গুলোতে সে সকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চুরি হয় তাতে বিল্লালের হাত রয়েছে। পরে তাকে পাত্রপাড়া ও বারুইহাটির মাঝে বৌ বাজার নামক স্থানে জনতা গণধোলাই দিয়ে বিদ্যুতের পিলারের সাথে বেধে রেখে কেশবপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিল্লাল হোসেনকে জনতার কাছ থেকে উদ্ধার পুলিশের তত্ত্বাবধানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
কেশবপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেনের কাছে মোহাম্মদ আলী ছেলে বিল্লাল হোসেনর বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন মামলার প্রক্রিয়া চলছে।