দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

কেশবপুরে প্রতিবন্ধী শিশুদের মূলস্রোতধারায় ফিরিয়ে আনতে সেমিনার

অভিভাবক শিক্ষকদের সচেতনতার ওপর জোর

60

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি :যশোরের কেশবপুরে প্রতিবন্ধী শিশুদের মূলস্রোতধারায় অন্তর্ভুক্তি, তাদের শিক্ষা–সুবিধা নিশ্চিত করা ও সমাজে সমান মর্যাদায় বেড়ে উঠতে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে এক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ সেমিনারের আয়োজন করে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক (সমাজসেবা) মোঃ হুসাইন শওকত। তিনি তার বক্তব্যে বলেন প্রতিবন্ধী শিশুরা সমাজের ওপর বোঝা নয়, তারা দেশের মূল্যবান সম্পদ। সঠিক শিক্ষা, পরিচর্যা ও সুযোগ পেলে তারাও মূলধারার শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের মতো নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারে। তিনি আরও জানান, সরকার প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করতে নিয়মিতভাবে ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি, পুনর্বাসন প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সুবিধা দিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রেকসোনা খাতুন।

তিনি বলেন, সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের মূল লক্ষ্যই হলো সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে বাস্তব সহায়তা পৌঁছে দেওয়া। আজ যারা হুইল চেয়ার বা সেলাই মেশিন পাচ্ছেন, তাদের জীবনমান উন্নয়নে এই সামগ্রীগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস। তার বক্তব্যে স্পষ্ট ছিল উন্নয়নের স্রোতকে সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে প্রশাসনের অঙ্গীকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ নেওয়াজ।

উপজেলা সমাজসেবার কর্মকর্তা মোঃ রোকনউজ্জামান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা এস এম মাজেদুর রহমান , মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ ফিরোজ আহমেদ , প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম , প্রেসক্লাব কেশবপুরের সভাপতি ওয়াজেদ খান ডবলু, সকল বক্তারা একই সুরে বলেন প্রতিবন্ধী শিশুদের স্কুলে ভর্তি করানো, নিয়মিত শিক্ষক অভিভাবক যোগাযোগ ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি। সেমিনারে কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিবন্ধী শিশুদের অভিভাবকেরা অংশ নেন। অনেকে অভিভাবকেরা তুলে ধরেন তাদের সন্তানের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি, চলাচল ও উপবৃত্তি পাওয়ায় যে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে তা। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ রোকনউজ্জামান জানান

কেশবপুর উপজেলায় বর্তমানে সরকারি ব্যবস্থাপনায় শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কসহ মোট ৩১ জন প্রতিবন্ধী উপকারভোগী নিয়মিত ভাতা পাচ্ছেন। ভবিষ্যতে তালিকা আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেমিনারে বলা হয়, প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য শুধু ভাতা নয়—পরিবার, বিদ্যালয় ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তনই তাদের এগিয়ে নেওয়ার মূল চাবিকাঠি। শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগে কেশবপুরের সকল প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার আলোয় ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.