যশোরের কেশবপুরে গৃহবধু নার্গিস বেগমকে ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনায় গত ১০ দিনেও থানা পুলিশ মামলা না নেওয়ায় বিচার চেয়ে রবিবার (৩ জুলাই) মাবনবন্ধন করেছে গ্রামবাসী।
রবিবার বেলা ১২টার দিকে কেশবপুর পৌর শহরের থানার মোড়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে নির্যাতিত গৃহবধু নার্গিস বেগম, তার পরিবারের সদস্যসহ ওই গ্রামের প্রায় ২ শাতাধিক নারী ও পুরুষ অংশ নেন।
এসময় কেদারপুর গ্রামের হযরত আলির কন্যা গৃহবধু নার্গিস বেগম জানান, গত ২৫ তারিখ সকাল ৭টার দিকে একই গ্রামের নিছার গাজির ছেলে নুর মোহাম্মাদ তাকে মোবাইলের মাধ্যমে তার বাসায় ডেকে নেয়।
এসময় নুর মোহাম্মাদ তাকে কু-প্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজি না হওয়ায় সে তার ঘরের মধ্যে তাকে জাপটে ধরে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়।
এসময় সে গৃহবধুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দেয়। এসময় গৃহবধু আত্মচিৎকার দিলে লম্পট নুর মোহাম্মাদ তাকে ছেড়ে দেয়। ঘটনার সময় নুর মোহাম্মাদের স্ত্রী ও সন্তানরা বাড়িতে ছিলনা বলে সে জানায়।
এই ঘটনাটি নুর মোহাম্মাদের বাসায় লাগানো সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। । ঘটনার বিষয়ে গৃহবধু ওই দিন বিকালে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানার এসআই মকলেছুর রহমান লম্পট নুর মোহম্মাদকে আইনের হাত থেকে রক্ষা করতে তার বয়ানে একটি দরখাস্ত লিখে আনতে বলেন ভিকটিমকে। তাতে ধর্ষনের চেষ্টা বাদ দিয়ে কু-প্রস্তাব দেয় বলে লিখে নেয়া হয়। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে খুন জখমের হুমকি দেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা আছে। নার্গিস বেগমের স্বামী মালায়শিয়া প্রবাশী বলে জানা যায়।
লেখাপড়া না জানা নার্গিস বেগম পরবর্তিতে এসআই মকলেছুর রহমানের চালাকি ধরতে পেরে অভিযোগ পরিবর্তন করে নতুন করে অভিযোগ দিতে গেলে এসআই মোকলেছুর রহমান তার অভিযোগ না নিয়ে তাকে থানা থেকে বের করে দেয় বলে তিনি জানান। বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানালে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
মানববন্ধন কালে কেদারপুর গ্রামের ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, নূরমোহাম্মাদ একজন মামলা বাজ এবং চরিত্রহীন মানুষ। সে গৃহবধু নার্গিস বেগমকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এব্যাপারে বিচার চাইতে এসেছি। এছাড়া ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনাটি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরবর্তিতে অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান ওই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নষ্ট করে ফেলেছে।
নুর মোহাম্মাদ বলেন, নার্গিস বেগমের স্বামী বিদেশ যাওয়ার সময় তারা তার কাছ থেকে ১ লাখ টাকা ধার নেয়। ঘটনার দিন নার্গিস বেগমকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে ওই টাকা চাওয়া হয়। টাকা চাওয়ার কারনে গৃহবধু তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগে কু-প্রস্তাবের কথা লেখা থাকায় মামলা গ্রহন করা হয়নি। এছাড়া ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনার ফুটেজের বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান তাকে জানায়নি। বিষয়টি নতুন করে তদন্ত করা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।