কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:যশোরের কেশবপুর পৌর শহরের খ্রিষ্টান মিশনের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী রাজেরুম ত্রিপুরার (১৫) রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে তার শয়নকক্ষে জানালার সাথে গলায় ওরনা পেচানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
থানা পুলিশ ও মিশন সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধা ৭টার দিকে কেশবপুর পৌর সদরের খ্রিষ্টান মিশনের রাজেরুম ত্রিপুরা তার শয়ন কক্ষে জানালার সাথে ওরনা পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। তার আত্মহত্যার বিষয়টি টের পেয়ে মিশনের হোষ্টেল সুপার জেসিকা সরকার সন্ধা ৭টা ১৫মিনিটের দিকে ওই রুম থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় কর্মরত ডাক্তার তাকে মৃত্য ঘোষনা করে। যে জানালায় সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই জানালার উচ্চতা ৫ ফুট। তার ঘুমানোর পালঙ্গ থেকে ৩ ফুট। এখবর পেয়ে থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাজেরুমের বেডরুমের বালিশের নীচ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করে। পরবর্তিতে তার মরদেহ পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ময়না তদন্তের জন্য যশোর মর্গে প্রেরন করে। রাজেরুম ত্রিপুরা খ্রিষ্টান মিশনে থেকে কেশবপুর শহরের পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীতে লেখাপড়া করতো। তার বাড়ি বান্দরবন জেলার থানচি উপজেলার কালুপাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম রমেশ ত্রিপুরা। কেশবপুর খ্রিষ্টান মিশনের হোস্টেলে ৪৬ জন মেয়ে থেকে লেখাপড়া করে। তার মৃত্যুর বিষয়টি জানার জন্য দৈনক খুলনা পত্রিকার প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে গেলে কর্তৃপক্ষ হত্যার বিষয়ে কারও সাথে কথা বলা যাবেনা বলে জানান।
খ্রিষ্টান মিশনের হোষ্টেল সুপার জেসিকা সরকার বলেন, শুক্রবার সন্ধার দিকে তার রুমের জানালার সাথে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। এসময়ও সে স্বাশ নিচ্ছিলো। এরপর তার মৃত্যু হয়। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তার রুম থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করে। ধারনা করা হচ্ছে প্রেম ঘটিত কারনে সে আত্মহত্যা করেছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, খ্রিষ্টান মিশন থেকে রাজেরুম ত্রিপুরার মৃত্যু দেহ উদ্ধার করে, তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
Next Post