কেশবপুর উপজেলার ত্রিমহীনি ইউনিয়নে কপোতাক্ষ নদের চর দখল করে মাছের ঘেরভেড়ী নির্মাণ করেছে চাঁদড়া গ্রামের গ্রামের মৃত আবুল কালাম সরদরের পুত্র ফারুক হোসেন। এই নিয়ে এলাকা বাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এবং এলাকায় বন্যা আতংক বিরাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহীনি বাজারের পার্শে ইউনিয়ন পরিষদের ভবনের পাশ দিয়ে ত্রিমোহীনি শরসকটি সড়কের ভায়া মির্জাপুর শ্মশানের পাশে কপোতাক্ষ নদের বন্যা নিয়োন্ত্রণ বাঁধ দখল করে দুই একর জমি দখল করে মাছের ঘেরভেড়ী তৈরি করছে উপজেলার চাঁদড়া গ্রামের মৃত আবুল কালাম সরদরের পুত্র ফারুক হোসেন। নির্মাণাধীন মাছের ঘের লীজ গ্রহনকারী মির্জাপুর গ্রামের মজিদ সরদারের পুত্র রুহুল আমীন দৈনিক খুলনা পত্রিকার প্রতিনিধি কে বলেন কপোতাক্ষ নদের চরের দুই একর জমির মালিক চাঁদড়া গ্রামের গ্রামের মৃত আবুল কালাম সরদরের পুত্র ফারুক হোসেন। তার নিকট থেকে ৫ বছরের জন্য তিনি লীজ গ্রহণ করে তার ঘের ভেড়ি তৈরি কর ছেন।কপোতাক্ষ নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সহ চরের জমি জোরপূর্বক দখল করে মাছের ঘের তৈরী করার কারণে বর্ষা মৌসুমে কপোতাক্ষ নদের পানি প্রবাহের বাঁধাগ্রস্থ হবে। ত্রিমোহীনি বাজারের ফার্ণীচার ব্যবসাশী আব্দুল জব্বার বলেন চাঁদড়া গ্রামের গ্রামের মৃত আবুল কালাম সরদরের পুত্র ফারুক হোসেন ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে জোরপূর্বক কপোতাক্ষ নদের চরের জমি দখল করে মাছের ঘেরভেড়ী তৈরি করছে। এর আগে মির্জাপুর গ্রামের আব্দুল গফুর, এতিম খা, সবুর সরদার কপোতাক্ষ নদের চরের জমি জোরপূর্বক দখল করে মাছের ঘের তৈরী করার পরেও প্রশাসনিক ভাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে এই ভাবে চরের জমি জোরপূর্বক দখল করে একের পর এক মাছের ঘের তৈরী করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে।ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আনিসুর রহমান বলেন যারা কপোতাক্ষ নদের চরের উপরে পানি উন্নয়ন বোডের তৈরি করা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে। সেই বাঁধে ভিতরে চরের জমি জোরপূর্বক দখল করে মাছের ঘের তৈরী করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তা-না হলে এই ভাবে চরের জমি জোরপূর্বক দখল করতে থাকলে বর্ষা মৌসুমে কপোতাক্ষ নদের পানি নিষ্কাশনের বাঁধাগ্রহস্থ হবে। প্লাবিত হয়ে যাবে চর অঞ্চলের মানুষের বাড়ি ঘর।
এবিষয়ে চাঁদড়া গ্রামের মাছের ঘেরভেড়ীর জমির মালিক মৃত আবুল কালাম সরদরের পুত্র ফারুক হোসেন বলেন ঐ জমির মালিক তিনি নিজেই। তারপরেও ঘের তৈরী করার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি তানভীর হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন এর নিকট থেকে আবেদন পূর্বক অনুমতি সাপেক্ষে ঘেরভেড়ি তৈরি করছি।
Prev Post