দৈনিক খুলনা
The news is by your side.

কালিনগর শ্রীশ্রী দেব মন্দির ও শিক্ষাখাতে ৮০ লাখ টাকা দান অধ্যক্ষ দিবাকর বাওয়ালীর

34

নিজস্ব প্রতিবেদক :কালিনগর শ্রীশ্রী দেব মন্দির এবং অধ্যক্ষ কুমারেশ বাওয়ালী টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের উন্নয়ন, দেব-দেবীর পূজা এবং দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যাণে ৮০ লাখ টাকা দান করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী অধ্যক্ষ দিবাকর বাওয়ালী।

অধ্যক্ষ দিবাকর বাওয়ালী বাবা মৃত কুমারেশ বাওয়ালী ও মা বন্ধনা রানী বাওয়ালীর সন্তান। তিনি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কালিনগর গ্রামের কৃতি সন্তান হিসেবে অঞ্চলজুড়ে সুপরিচিত। তিনি কালিনগর কলেজ, মুক্তিযোদ্ধা কলেজ, গরিয়ারডাঙ্গা কলেজ, বারবাড়িয়া কলেজসহ বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা, প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। এছাড়া খুলনার মেট্রোপলিটন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে দীর্ঘদিন শিক্ষাখাতে সুনাম অর্জন করেছেন।

বাংলাদেশ, ভারত, নেপালসহ দেশ-বিদেশে শিক্ষার প্রসারে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি বহু সম্মাননা পেয়েছেন।

অধ্যক্ষ দিবাকর বাওয়ালী তার গ্রামের উন্নয়নে প্রতিকূলতা সত্ত্বেও একটি মন্দির, একটি উচ্চমাধ্যমিক কলেজ এবং পিতার নামে তিনটি শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তার বাবার প্রতিষ্ঠিত উদয়ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও ধীরে ধীরে বৃহৎ আকার ধারণ করছে।

তার প্রাপ্য সম্পত্তির ‘একর’- এর টাকা থেকে ৮০ লাখ টাকা তিনি কালিনগর শ্রীশ্রী দেব মন্দির এবং অধ্যক্ষ কুমারেশ বাওয়ালী টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট- এই দুই প্রতিষ্ঠানে নিঃস্বার্থভাবে দান করেছেন। দানকৃত অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে এফডিআর (FDR) আকারে সংরক্ষিত থাকবে।

অর্থ ব্যবহারের নিয়মাবলি
মন্দিরের এফডিআরের লভ্যাংশ দেব-দেবতার পূজা, মন্দির উন্নয়ন এবং দুঃস্থ-দরিদ্র মানুষের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।

ইনস্টিটিউটের এফডিআরের লভ্যাংশ প্রতি বছর দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি হিসেবে প্রদান করা হবে।

জীবদ্দশায় অধ্যক্ষ দিবাকর বাওয়ালীর অনুমতি ছাড়া কেউ এই দানকৃত অর্থ উত্তোলন করতে পারবে না।

মৃত্যুর পর তার বংশানুক্রমে জ্যেষ্ঠ ছেলে মন্দিরের সেবায়েত ও ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন- তিনি দেশ বা বিদেশ যেখানেই থাকুন না কেন।

ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি করণ হলেও এই ট্রাস্টের অর্থ ট্রাস্ট ও মন্দিরের নিয়ম অনুযায়ীই পরিচালিত হবে।

কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা সরকারি প্রতিষ্ঠান এ অর্থ ব্যক্তিস্বার্থে ভোগ বা দখল করতে পারবে না।

অধ্যক্ষ দিবাকর বাওয়ালীর এই মহতী দান দেব-দেবতার সেবা, সমাজকল্যাণ এবং এলাকার দরিদ্র-মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.