কয়রার পর্যটন কেন্দ্রটি বদলে দেবে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য……. জেলা প্রশাসক
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেছেন সুন্দরবনকে ঘিরে কয়রার পর্যটন কেন্দ্রটিকে এই এলাকার মানুষের ভাগ্যর পরিবর্তন ঘটাবে। এটিকে পরিচিত করতে হলে সকল মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
দেশের অনেক অঞ্চল থেকে এখানে ঘুরতে আসবে মানুষ৷ তারা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লিলাভুমি সুন্দরবনকে খুব কাছ থেকে দেখতে পাবে। আর এতে করে আনন্দ উপভোগ করবে পর্যটকরা। তিনি আরও বলেন, পর্যটনকেন্দ্রটি কয়রার অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। এটি স্থানীয়দের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে তুলে ধরবে। এ সময় তিনি সুন্দর বনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্লাস্টিক,ও পলিথিনের ব্যবহারে মানুষকে সচেতন থাকতে বলেন।
যাতে করে এই অঞ্চলের পরিবেশ সুরক্ষা থাকে।জেলা প্রশাসক বুধবার ( ৯ জুলাই) বেলা ১১ টায় কয়রার সুন্দরবন পর্যটন কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস। কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রিয়াছাদ আলীর পরিচালনা এ উপলক্ষে আলোচনায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন কয়রার যৌথ বাহিনীর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মোঃ ওয়াহিদ, কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ জিএম ইমদাদুল হক, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শাফিন সোয়েব, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মিজানুর রহমান, কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শরিফুল আলম, খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান, কয়রা সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এস এম লুৎফর রহমান, কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন, ইউপি সদস্য হরেন্দ্রনাথ সরকার, নাজমুছ সাদাত, সমাজসেবক মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, আদিবাসি সদস্য বাসন্তী মুন্ডা প্রমুখ। এর আগে খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম গোবরার চরে টুরিস্ট স্পটের উদ্বোধনের পাশাপাশি কয়রা উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজের উদ্বোধন করেন।
পরিবেশবান্ধব ও পরিকল্পিতভাবে এই পর্যটন কেন্দ্র পরিচালিত হলে তা স্থানীয় মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের পাশাপাশি সুন্দরবনের সুরক্ষায়ও অবদান রাখবে, এমন আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।